ইলাহাবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের ভারতীয় কৃষক সংঘের নেতা সত্যেন্দ্রকুমার পাঠক। প্রতীকী ছবি।
বছর দশেক আগে অমেঠীর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কবরখানা-সহ কয়েকশো শৌচাগার নির্মাণের বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সরকারি আধিকারিকেরা। এমনই দাবি করে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক কৃষকনেতা। তাঁর আবেদন ছিল, নিরপেক্ষ তদন্ত করে ওই আধিকারিকদের বেতন থেকে সেই অর্থ কেটে নেওয়া হোক। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত। যদিও সোমবার কৃষকনেতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রমেশ সিংহ এবং বিচারপতি মণীশ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন এই জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছেন আবেদনকারী, তা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা খারিজ করেছে আদালত।
জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের ভারতীয় কৃষক সংঘের নেতা সত্যেন্দ্রকুমার পাঠক। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১২-’১৩ সালের অর্থবর্ষে অমেঠীর গৌরীগঞ্জে গড়থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি কবরখানা এবং ৪৬৪টি শৌচাগার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ২৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সরকারি আধিকারিকেরা। ২০১৭-’২০ সালের ৩টি তদন্ত রিপোর্টের উল্লেখ করে সত্যেন্দ্র দাবি করেন, ৪৬৪টি শৌচাগারের বদলে ওই এলাকায় কেবল মাত্র ৩৮১টি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি করেন সত্যেন্দ্র। যদিও আদালতে এর বিরোধিতা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার-সহ মামলায় জড়িত অন্যান্যরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, জনস্বার্থে রুজু করা হলেও আবেদনকারী ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ১৯৫২ সালের নিয়ম মোতাবেক ২২তম অধ্যায়ের বিধি ১-এর উপবিধি-৩এ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করেননি।
হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তিগত স্বার্থেই এই মামলা রুজু করেছেন সত্যেন্দ্র। তাঁর কোনও ক্ষোভ থাকলে তা যথাযথ জায়গায় আবেদন করতে পারেন। আদালতের অবশ্যই প্রকৃত জনস্বার্থ মামলা রুজু করায় উৎসাহিত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অন্য কোনও কারণে জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হলে তা অবশ্যই নিরুৎসাহিত এবং নিয়ন্ত্রণ করাও আদালতের কর্তব্য।