Shri Krishna Janmabhoomi

শাহি ইদগাহ মামলায় শুনানি হবে মথুরার দেওয়ানি আদালতে, সায় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই এবং‌ মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ মোগল সম্রাট অওরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছিল। সেখানে আদতে ছিল শ্রীকৃষ্ণ মন্দির।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইলাহাবাদ (প্রয়াগরাজ) শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ২০:০০
Allahabad HC orders Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah dispute case to be heard by Mathura civil court

শাহি ইদগাহ মামলায় শুনানি হবে মথুরার দেওয়ানি আদালতে, জানিয়ে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট ফাইল চিত্র।

শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মসজিদ মামলার শুনানির দায়িত্ব মথুরার দেওয়ানি আদালতকে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের তরফে বিষ্ণু তরফে মথুরা দেওয়ানি আদালতের বিচারক সিনিয়র ডিভিশন-৩-এর এজলাসে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এ বিষয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন হাই কোর্ট তা শুনানির অনুমতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, মথুরার প্রাচীর কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের গর্ভগৃহে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, সেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

মথুরার দেওয়ানি আদালতে নামে দায়ের হওয়া মামলার মূল দাবি, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’-র ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং সেখানে অবস্থিত সপ্তদশ শতকের শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানো। কিন্তু ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে দেশে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র বদলানোর উপরে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রেখে দিতে হবে। কোনও আদালত এই বিষয়ে আর্জি শুনতেও পারবে না।

এই পরিস্থিতিতে আদৌ মথুরা দেওয়ানি মামলা আদালতে গৃহীত হতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী পক্ষের দাবি মেনে নিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি ছিল, এটি নিছক ধর্মস্থানের চরিত্র বদলানোর অভিযোগ নয়। জমির অধিকার সংক্রান্ত জালিয়াতির প্রশ্ন। তাঁদের আইনজীবী আদালতকে জানান, ১৯৬৮-র ১২ অক্টোবর শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সঙ্ঘের সঙ্গে শাহি মসজিদ ইদগাহ পরিচালন কমিটির বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইদগাহকে জমি ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে জমির উপর সেবা সঙ্ঘের অধিকারই ছিল না। ব্রিটিশ জমানায় ওই জমি বারাণসীর রাজা পাটনি মল নিলামে কিনে নিয়েছিলেন। পরে তা পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য ও অন্যান্যরা কিনে মন্দির তৈরির ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement