Anand Mohan Singh

জেলাশাসক খুনে দোষী আনন্দমোহনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানো আর্জি গৃহীত সুপ্রিম কোর্টে

১৯৯৪ সালে জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আনন্দমোহন। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজপুত ভোটের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ তাঁকে মুক্তি দিয়েছেন ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৫:২০
SC to hear the plea for challenging release of former MP Anand Mohan from jail on 8 May 2023

রাজনৈতিক স্বার্থে খুনি আনন্দমোহনকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ জেলবিধি বদলে মুক্তি দিয়েছেন বলে বিরোধাদের অভিযোগ। ফাইল চিত্র।

বিহারে জেলাশাসক খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহন সিংহের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ৮ মে (সোমবার) শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।সম্প্রতি বিহার সরকার জেলবিধিতে পরিবর্তন ঘটনোয় মুক্তি পেয়েছেন ২৬ জন বন্দি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস অফিসার তথা গোপালগঞ্জের তৎকালীন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের অপরাধী প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহন।

১৯৯৪ সালে আমলা জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আনন্দ। বিহারের জেলবিধিতে আগে কর্তব্যরত সরকারি কর্মী খুনে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি নিষিদ্ধ ছিল। সেই নীতিই বদলেছে নীতীশের নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী খুনের অপরাধী যদি ১৪ বছর জেল খেটে ফেলেন তা হলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।

Advertisement

নয়া জেলবিধির ফলেই মুক্তি পান আনন্দমোহন-সহ ২০ জন। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ সব করছেন। ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটে মধ্য বিহারের প্রভাবশালী রাজপুত নেতা আন্দমোহনের সাহায্য নিতেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

আনন্দমোহনের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত আইএএস অফিসারে কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী উমা। তাঁর দাবি, ১৪ বছর জেল খাটলেও সাজা পূরণ হয়নি প্রাক্তন সাংসদের। সুপ্রিম কোর্টের একটি পুরনো রায়ের উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসাবে। তাই দণ্ডিতকে আজীবন কারাবাস করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই সাজা মকুব করা চলবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement