(বাঁ দিক থেকে) শরদ পওয়ার, মকরন্দ যাদব পাতিল এবং অজিত পওয়ার। ফাইল চিত্র।
শরদ না অজিত— কোন পওয়ারের শক্তি বেশি, তা নিয়ে বিবাদ জারি এখনও। তারই মধ্যে এনসিপি বিধায়কদের নিয়ে চলছে টানাপড়েন। এই আবহে এক সপ্তাহের মধ্যে তিন বার গোষ্ঠীবদল করলেন এনসিপি বিধায়ক মকরন্দ যাদব পাতিল। প্রথমে অজিত শিবিরে থাকলেও পরে শরদের বৈঠকে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরে আবার অজিত শিবিরে ‘ফিরে গিয়েছেন’ সাতারা জেলার ওয়াই কেন্দ্রের ওই বিধায়ক।
গত ২ জুলাই এনসিপিতে পটপরিবর্তন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে বদলে দিয়েছে বেশ কয়েকটি সমীকরণ। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব লাভের পরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ দাবি করেছেন। ২ জুলাই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে অজিতের শপথের দিনে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন মকরন্দ। কিন্তু পরের দিনই শরদের সাতারা সফরের সময় তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন তিনি। বুধবার মুম্বইয়ের যশবন্ত রাও চহ্বাণ সেন্টারে শরদ গোষ্ঠীর সম্মেলনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু গত রবিবার আবার অজিতকে সমর্থনের কথা জানিয়ে মকরন্দ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’’ মকরন্দকে দেখে ষাটের দশকের হরিয়ানার সেই আয়ারাম-গয়ারাম রাজনীতির কথা বলছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি শিবিরের একাংশ। ১৯৬৭ সালের বিধানসভা ভোটে হরিয়ানার হাসনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পরেই নির্দল বিধায়ক গয়া লাল যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস। সে দিনই আবার কংগ্রেস ছেড়ে সংযুক্ত বিরোধী মোর্চাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার শিবির বদলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে!