রাফাল যুদ্ধবিমান এবং স্করপেন যুদ্ধবিমান। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এসেছে ইতিমধ্যেই। এ বার ভারতীয় নৌসেনার জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে বায়ুসেনার মতোই নৌসেনাও পাবে ফরাসি যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি রাফাল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ফ্রান্স সফরেই ২৬টি ‘মেরিন রাফাল’ কেনার বিষয়ে সমঝোতাপত্র সই হতে পারে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে। পাশাপাশি, চূড়ান্ত হতে পারে ফান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্করপেন ডুবোজাহাজ তৈরির সমঝোতা। প্রসঙ্গত, এর আগে ফরাসি সংস্থা ডিসিএনএস-এর সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে মোট ছ’টি কলভরী গোত্রের স্করপেন ডুবোজাহাজ বানিয়েছে ভারত। ওই প্রকল্পের নাম ‘প্রজেক্ট ৭৫’। প্রথম ভারতীয় স্করপেন আইএনএস কলভরীকে ২০১৫ সালের অক্টোবরে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ফরাসি নৌবাহিনীও ‘মেরিন রাফাল’ ব্যবহার করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, নৌসেনার বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রাথমিক ভাবে আমেরিকার বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’ (আমেরিকার নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত) বা ‘মেরিন রাফাল’ পছন্দের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এর পর গোয়ার নৌঘাঁটি আইএনএস হংস থেকে দু’টি যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা কয়েক মাস ধরে পরীক্ষা করা হয়। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয় রাফালের নাম।
নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে এবং আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগেই রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে-র পরিবর্ত খুঁজতে শুরু করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। বেশ কয়েক বার বিক্রমাদিত্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ পরীক্ষাও হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ‘অ্যারেস্টর হুক’-এর সাহায্যে ৯০ মিটারের মধ্যে গতিবেগ ২৪৪ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে পেরেছে তেজস। কিন্তু অস্ত্রবহন ক্ষমতা এবং দূরপাল্লার উড়ানের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রাফাল।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে। যে চুক্তিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ফ্রান্স থেকেই। মোদীর জমানায় রাফাল যুদ্ধবিমানের মতোই বিতর্কের কেন্দ্র হয়েছে স্করপেন। ২০১৬ সালে প্রকাশিত খবরের অভিযোগ, ওই ডুবোজাহাজ সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সেই সব তথ্য অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল। ভারতীয় নৌসেনার দাবি, কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেলেও, তাতে এই ডুবোজাহাজের সক্ষমতা কোনও ভাবেই কমে যায় না।