NCP Crisis

মহারাষ্ট্রে ‘পওয়ার-পলিটিক্স’, উদ্ধবের পর এ বার শরদের ‘সংসার’ ভেঙে দিল বিজেপি, অজিত আবার উপমুখ্যমন্ত্রী

এনসিপিতে ভাঙন ধরালেন অজিত পওয়ার। রবিবার মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-বিজেপি সরকারে শামিল হলেন শরদ পওয়ারের ভাইপো এবং আট এনসিপি বিধায়ক। পাল্টা সরব হয়েছেন এনসিপি প্রধান। আক্রমণ করলেন বিজেপিকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ২২:৫৯
photo of Sharad Pawar and Ajit Pawar.

শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।

রাজনীতিতে নাকি চিরশত্রু বা চিরবন্ধু বলে কিছু হয় না। সকলের মধ্যে সন্ধি হয় সমঝোতা আর বোঝাপড়ার মাধ্যমে। আবার রাজনীতি মানেই নাকি ক্ষমতার লড়াই। সেই লড়াইতে জিততে ভাঙাগড়ার খেলা চলতেই থাকে। ঠিক যেমনটা চলছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। গত প্রায় পাঁচ বছরে সে রাজ্যে অন্তত চার বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক বার সরকার বদলও ঘটেছে। রবিবারও এক শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। যাঁর হাত ধরে মহা-রাজনীতি নতুন মোড় নিল, তিনি এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। রবিবাসরীয় দুপুরে আচমকা আট এনসিপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাত মেলালেন পওয়ারের ভাইপো। আবার হলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে এনসিপির ঘর ভেঙে গেল।

বছর ঘুরলেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। রয়েছে লোকসভা ভোটও। রাজনীতির আঙিনায় এই জোড়া যুদ্ধের আগে এনসিপির মতো বিজেপি বিরোধী দলে ভাঙন ভিন্ন মাত্রা যোগ করল। ঠিক এক বছর আগে জুন মাসে শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রে ‘মহা বিকাশ আঘাডী’ সরকার ফেলে দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন সরকার। যার নেপথ্যে বিজেপির ‘কলকাঠি’ ছিল বলে দাবি করে বিরোধীরা। সেই নয়া সরকারের এক বছরের মধ্যেই বিরোধী শিবিরে আবার ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি। যদিও এ বার সরকার পড়েনি ঠিকই। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যখন এনসিপি-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি একজোট হওয়ার সলতে পাকাচ্ছে, সেই আবহে বিজেপি সরকারে অজিতের শামিল হওয়ার ঘটনা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে তাদের বিজেপি ‘চাপে’ রাখতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও ভাইপোর পদক্ষেপে ‘বিব্রত’ নন বলে জানিয়েছেন শরদ। আক্রমণ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কংগ্রেসও। শিবসেনার মতো এনসিপির অন্দরেও একই গৃহযুদ্ধ চলবে কি না, সেই নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

অজিত আবার বিদ্রোহী

শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার যে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন— এমন জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই ডালপালা মেলেছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। গত কয়েক মাসে নানা ঘটনাপ্রবাহে এই জল্পনা অনেক জল-হাওয়া পেয়েছে। রবিবার আচমকা যে সেই জল্পনায় ইতি টেনে চমক দেবেন অজিত, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি মহা-রাজনীতি। রবিবার দুপুরে হঠাৎই অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান অজিত। তার পরই হাত মেলান শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পওয়ারের ভাইপো। তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক শপথগ্রহণ করেছেন। তাঁরা হলেন, ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাটিল। অজিত দাবি করেছেন, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জনের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। বস্তুত, দলত্যাগ আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে অজিতের প্রয়োজন ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন। অজিত এ-ও জানিয়েছেন, এনসিপিতে কোনও ভাঙন ঘটেনি। আগামী সব নির্বাচনে তাঁরা এনসিপি-র নাম এবং প্রতীক ব্যবহার করবেন। আগামী ৫ জুলাই এনসিপি নেতাদের সঙ্গে অজিত এবং শরদ শিবির আলাদা আলাদা বৈঠকে বসবে।

কী বললেন শরদ পওয়ার

অজিতের সিদ্ধান্তে তিনি ‘বিব্রত’ নন বলেই জানিয়েছেন শরদ পওয়ার। বলেছেন, ‘‘আজ যা ঘটল, তাতে আমি একেবারেই বিব্রত নই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। ১৯৮০ সালে আমাদের ৫৮ জন বিধায়ক ছিলেন। তার পর সবাই ছেড়ে গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র ছ’জন বিধায়ক ছিলেন। তার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। যাঁরা আমায় ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এটা গুগলি নয়, রবারি (ডাকাতি)। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন এবং শপথ নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’ আগামী ৬ জুলাই একটি বৈঠক ডেকেছিলেন বলে জানান পওয়ার। সেই বৈঠকে দলের অন্দরে কিছু রদবদল করা হত। তার আগেই অজিতরা ভিন্ন অবস্থান নিলেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান শরদ। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। বলেছেন, ‘‘দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী এনসিপি সম্পর্কে দু’টি কথা বলেছিলেন। একটি হল, এনসিপি দলটা খতম হয়ে গিয়েছে। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। আমি খুশি যে, আমার দলের কয়েক জন সহকর্মী শপথ নিলেন (এনডিএ সরকারে)।

এটা থেকে স্পষ্ট যে, সব অভিযোগ থেকে আমরা মুক্ত। ওঁর (প্রধানমন্ত্রী) প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’’ কেন অজিত-সহ এনসিপি বিধায়করা বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাত মেলালেন, তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সকলে জানতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পওয়ার। মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে এনসিপির জিতেন্দ্র আওহাদকে।

কী বললেন অজিত

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন অজিত। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। অন্য দেশেও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জনপ্রিয়। আগামী লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে থেকে লড়ব। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এই প্রসঙ্গে শরদের ভাইপো জানিয়েছেন, এনসিপি দল তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। দলের নাম এবং প্রতীকেই তাঁরা আগামী সব নির্বাচনে লড়বেন। যদিও এই প্রসঙ্গে শরদ বলেছেন, ‘‘সত্য শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসবে।’’ তা হলে কি শিবসেনার মতো নাম এবং প্রতীক নিয়ে এনসিপির অন্দরেও লড়াই হবে? গত বছর শিন্ডের বিদ্রোহের পর শিবসেনা কার— এই নিয়ে সে দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন শিন্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরে। এনসিপিতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?

মত বদল শিন্ডের

অজিত পওয়ারকে নিয়ে নিজের অবস্থান বদলে ফেললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে তাঁদের জোটে অজিত শামিল হলে সরকার ছাড়বেন বলে গত এপ্রিল মাসেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শিন্ডের দল। রবিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জোট সরকারের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অজিতকে স্বাগত জানালেন শিন্ডে। বললেন, ‘‘এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারে ট্রিপল ইঞ্জিন রয়েছে। এখন আমাদের এক জন মুখ্যমন্ত্রী এবং দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী (অজিত এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস)। রাজ্যে আরও উন্নয়ন হবে।’’ অজিতকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতৃত্বও। সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে দাবি করেছেন, এনসিপির ৪০ জন বিধায়ক সরকারের সমর্থনে রয়েছে।

সরব বিরোধীরা

অজিতের কাণ্ডে সরব বিভিন্ন বিরোধী দল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এনসিপি প্রধান জানিয়েছেন, তাঁকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, বিজেপি বিরোধী নেতারা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, সেই বার্তাই বুঝিয়ে দিলেন শরদ। উদ্ধব ঠাকরে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়েছেন অজিত পওয়ার। আশা করব এই জোট ভাল ভাবে মহারাষ্ট্র সরকার চালাবে।’’ আগামী ৩ জুলাই দলে বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক চৌহান বলেছেন, ‘‘নির্বাচন যখন হবে, তখন পওয়ারের কাছে কত জন বিধায়ক থাকেন দেখব। ডবল ইঞ্জিন হোক বা ট্রিপল ইঞ্জিন, কিছুই কাজ করছে না। এনসিপি নেতাদের অন্তর্ভুক্তি আদতে শিন্ডে এবং বিজেপির ফাটল দেখিয়ে দিয়েছে।’’ মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, ‘‘ক্ষমতার জন্য বিজেপি সবকিছু করতে পারে। মহারাষ্ট্রের মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে ওদের। কখনওই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি।’’ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। বিরোধী নেতারা যে ভাবে একজোট হচ্ছেন, তাতে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই আঞ্চলিক দলগুলির ঘর ভাঙছে। সঠিক সময়ে যোগ্য জবাব পাবে ওরা।’’ তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালে বিজেপি এবং এই বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে লড়ব। বিজেপিকে হারাতে একজোট হয়ে লড়ব।’’ জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেছেন, ‘‘এনসিপিতে ভাঙন একটা ধাক্কা। কোনও নৈতিকতা নেই।’’ আরজেডির মনোজকুমার ঝা জানিয়েছেন, এই ফাটল জোড়া লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন পওয়ার। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মণিপুর জ্বলছে, আর বিজেপি দল ভাঙানোর খেলা খেলছে।’’ যে সব এনসিপি বিধায়ক সরকারে শামিল হয়েছেন, পোস্টার-ব্যানারে তাঁদের মুখে কালি লেপেন সে দলের কর্মী-সমর্থকরা।

কাকা বনাম ভাইপো

‘কাকা’ শরদের সঙ্গে তাঁর ‘ভাইপো’ অজিতের অম্লমধুর সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। অতীতেও একাধিক বার শরদকে ‘বিপদে’ ফেলেছেন অজিত। বিদ্রোহের শুরু সেই ২০১৯ সালে। সে বছর অক্টোবর মাসে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেছিলেন অজিত। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। তবে সেই সরকার বেশি দিন টেকেনি। কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপি জোট বেঁধে ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ সরকার তৈরি করে মহারাষ্ট্রে। এর পর, আবার অবস্থান বদলে ‘কাকা’র শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদেই ছিলেন অজিত। কিন্তু গত বছর জুন মাসে শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে সরকার ফেলে দেন একনাথ শিন্ডে। সেই সময় থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব ‘ভাইপো’র হাতে তুলে দেন শরদ। তখন শিন্ডেদের সঙ্গে অজিত হাত মেলাতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, যদিও সেই সময় তেমনটা ঘটেনি।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নতুন করে ওই সম্পর্কের ‘চিড়’ ধরা পড়েছিল। বিজেপি-শিন্ডে সরকারকে অজিত সমর্থন জানাতে পারেন— এমনই জল্পনা জল-হাওয়া পেয়েছিল সে রাজ্যের রাজনীতিতে। এই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল, যখন এনসিপির একাধিক কর্মসূচিতে গরহাজির থাকতে শুরু করলেন অজিত। ওই সময় অজিতের বিভিন্ন বক্তব্য বেশ ইঙ্গিতবাহী ছিল। কখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন, আবার শিন্ডের সরকারকে সহজে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন অজিত। এই আবহে দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করেন শরদ। এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই জুন মাসে কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এবং প্রফুল্ল পটেলকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে নিযুক্ত করেন পওয়ার। উল্লেখযোগ্য ভাবে দলীয় কোনও পদ পাননি অজিত। সেই সময় প্রকাশ্যে দলীয় পদ চেয়েছিলেন অজিত। এ-ও জানিয়েছিলেন, তিনি আর বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে চান না। এই ঘটনায় ‘কাকা’র সঙ্গে ‘ভাইপো’র সম্পর্কের ‘তিক্ততা’ আরও প্রকট হয়েছিল। তার পরই নতুন করে অজিতের বিদ্রোহ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই জল্পনার যবনিকা পতন ঘটিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল ফেলে দিলেন পওয়ার-ভাইপো।

আরও পড়ুন
Advertisement