এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার কাজ করেন নিজেই। কর্মীরাও যদি সপ্তাহান্তে পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে অফিসে যেতেন তা হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। কর্মীদের উদ্দেশে এমনটাই বলেছেন সংস্থার অধিকর্তা। শুধু তা-ই নয়, সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সংস্থার কর্মীদের যা বেতন তার চেয়ে ৫৩৪.৫৭ গুণ বেশি উপার্জন সুব্রহ্মণ্যনের। সূত্রের খবর, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে তাঁর মূল বেতন ছিল ৩.৬ কোটি টাকা। তা ছাড়া কমিশন বাবদ ৩৫.২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অবসরকালীন সুবিধা বাবদ সাড়ে ১০ কোটি টাকা পান এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান। আরও বেশ কিছু সুবিধা বাবদ তিনি গত অর্থবর্ষে মোট ৫১ কোটি টাকা আয় করেন বলে জানা যায়। হিসাব করে দেখা গিয়েছে, তিনি যে পারিশ্রমিক পান তা তাঁর সংস্থার কর্মীদের গড় বেতনের থেকেও ৫৩৪.৫৭ গুণ বেশি।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) যেখানে সুব্রহ্মণ্যন বলেছেন, ‘‘সব কিছু যদি আমার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলে আমি রবিবারও আমার কর্মীদের কাজ করতে বলতাম। কিন্তু আমি তা পারি না। আমি নিজে রবিবার কাজ করি। বাড়িতে এত ক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কত ক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কত ক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’ তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা থেকে শুরু করে বলি অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। নেটাগরিকদের অধিকাংশ পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই প্রসঙ্গ নিয়েই অতীতে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকেও যেন অতিক্রম করে গেলেন এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান।