বাঁদিকে অমিত শাহ, ডানদিকে ইকে পলানীস্বামী। —ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এডিএমকে প্রধান ইকে পলানীস্বামীর মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের পরে তামিলনাড়ুতে নতুন জোটের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু পলানী-সহ তাঁর সঙ্গী নেতারা দাবি করেছেন, ওই বৈঠকে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি!
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হবে তামিলনাড়ুতে। সেখানে ক্ষমতাসীন ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে হারাতে আবার বিজেপি-এডিএমকে সমঝোতা করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এই আবহে পলানীস্বামী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমিত শাহের কাছে আমরা মৌলিক শর্তগুলি তুলে ধরেছি। বিদ্রোহী এডিএমকে নেতারা এনডিএতে ঠাঁই পেলে, তা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’’
এ ক্ষেত্রে ‘বিদ্রোহী নেতা’ বলতে তিনি তামিলনাড়ুর আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পন্নীরসেলভম এবং জয়ললিতার বান্ধবী শশীকলার ভাইপো তথা এএমএমকের প্রতিষ্ঠাতা টিটিভি দীনাকরণকে নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর লোকসভা ভোটে এডিএমকে থেকে বহিষ্কৃত ওই দুই নেতাই বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েছিলেন। এডিএমকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এনডিএ থেকে পন্নীরসেলভম ও দীনাকরণের বিদায় এবং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে পলানীস্বামীকে মেনে নিলেই বিজেপির সঙ্গে ফের হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের অন্দরে।
তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এনডিএ ছেড়েছিলেন পলানীস্বামী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সংঘাত এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলে দলের একটি সূত্রের দাবি। গত বছর লোকসভা ভোটের আগে পলানীস্বামীর দলকে এনডিএ-তে ফেরানোর লক্ষ্যে এডিএমকে-র সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই একঝাঁক নেতা এডিএমকে ছেড়ে বিজেপিতে গেলে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হয়। লোকসভা ভোটে আলাদা ভাবে স্থানীয় কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করে লড়েছিল এডিএমকে এবং বিজেপি। কিন্তু সে রাজ্যের ৩৯টি লোকসভা আসনই জিতে নেয় ডিএমকে-কংগ্রেস-বামেদের জোট।