Indian Reserve Battalion

আধাসেনার চৌকিতে উন্মত্ত জনতার হামলা মণিপুরের ইম্ফলে, নিহত যুবক, গুরুতর আহত দুই

অশান্তি ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু তার পরেও হিংসা থামেনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৪

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আবার অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ, অসম রাইফেলসের পর এ বার উন্নত্ত জনতার হামলার লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনী ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন (আইআরবি)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজধানী ইম্ফলের চিঙ্গারেল তেজপুরের আইআরবি পঞ্চম ব্যাটেলিয়নের একটি চৌকিতে হামলা চালায় সশস্ত্র জনতা। স্থানীয় সূত্রের খবর, চৌকিতে মোতায়েন জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালান। সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দু’জন। নিহতের নাম ওক্রাম সনাতন। ২৪ বছরের ওই যুবক পূর্ব ইম্ফল জেলার পাঙ্গেই ওক্রাম লেইকাই এলাকার বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘাতের সূচনা হয়েছিল।

অশান্তি ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু তার পরেও হিংসা থামেনি। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে নিহত প্রায় দু’শো জন। আহত হাজারের বেশি। ঘরছাড়া হয়েছেন যুযুধান দুই জনগোষ্ঠীর ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। সম্প্রতি কুকি জনগোষ্ঠীর জঙ্গি সংগঠনগুলি ধারাবাহিক ভাবে মণিপুর পুলিশ এবং আধাসেনার উপর হামলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement