pakistan

Ramzan 2022: রমজান মাসে মুক্তি দিল পাকিস্তান, ১২ বছর পর বিহারের যুবক ফিরলেন বাড়িতে

২০২১ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক করাচির জেলে বন্দি ছবির সন্ধান পায়। পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হতে যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ১০:৫৩
পাকিস্তানের জেল থেকে বিহারের বাড়িতে ফিরলেন দলিত যুবক।

পাকিস্তানের জেল থেকে বিহারের বাড়িতে ফিরলেন দলিত যুবক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

দীর্ঘ ১২ বছর পাকিস্তানে কাটিয়ে মুক্তি পেলেন বিহারের বক্সারের বাসিন্দা ছবি মুশাহর। পঞ্জাবের অমৃতসর সীমান্তে পাক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন করাচি জেলে বন্দি ছবিকে। ভারত সরকারের হেফাজতে প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে বুধবার নিজের বাড়িতে পৌঁছেছেন ৩৫ বছরের ছবি।

২০০৯ সালে হঠাৎই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ২৩ বছরের দলিত যুবক ছবি। কিন্তু কী ভাবে তিনি পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ছবির দাবি, শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি ট্রেনে চড়েছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন পঞ্জাবে। সেখান থেকে পথ ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে। তবে প্রথমেই ধরা পড়েননি তিনি। বেশ কয়েক বছর পাকিস্তানেই মোট বওয়া কৃষি শ্রমিকের কাজে দিন গুজরান করেন ছবি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আনা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ।

পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছিল সে সময়। খোঁজাখুঁজিও করা হয়েছিল বিস্তর। ২০০৯ সালে স্ত্রী অনিতা সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। এর পর তিনি ফের বিয়েও করেন।

Advertisement

ছবির ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের অন্যেরাও। পারলৌকিক ক্রিয়ার আয়োজন করা হয়। যদিও মা বীর্থি দেবী আশা হারাননি। তাঁর স্থির বিশ্বাস ছিল, নিখোঁজ সন্তান এক দিন ফিরে আসবেনই। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক করাচির জেলে বন্দি ছবির সন্ধান পায়। পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হতে যোগাযোগ করা হয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

প্রায় প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে কয়েক জন নিরপরাধ বিদেশি বন্দিদের মুক্তি দেয় পাকিস্তান সরকার। এ বার সেই তালিকায় ছিল ছবির নাম। ছেলে বাড়ি ফেরার পরে বীর্থি বলেন, ‘‘আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। অনেক দিন পর ছেলেকে ফিরে পেলাম। আমি পরিবারের কাছে এটি ঈশ্বরের আশীর্বাদ। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’

আরও পড়ুন
Advertisement