—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার দিল্লিতে অবাধে লুটপাট চালালেন দুষ্কৃতীরা। আবারও গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্রগতি ময়দান থানা এলাকার পর এ বারের ঘটনাস্থল মঙ্গলপুরী। সিসিটিভিতে লুটপাটের সেই ঘটনা ধরা পড়েছে।
শনিবার সকালে গা়ড়ি নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল ব্যবসায়ীর কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা আছে। তাই তাঁরা রাস্তাতেই অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলপুরী থানা এলাকার পুষ্পাঞ্জলি এনক্লেভের সামনে ব্যবসায়ীর গাড়ি আসতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি থামান। তার পর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে চম্পট দেন।
এক মাসের মধ্যেই আবার প্রকাশ্য রাস্তায় টাকা লুটের ঘটনায় পুলিশমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের খোঁজে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। খুব দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি এক পুলিশকর্তার। রাজধানীর বুকে এর মাসের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার লুটের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, রাজধানীতে নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।
গত ২৪ জুন প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ব্যস্ত টানেলে ব্যবসায়ীর গাড়ি দাঁড় করিয়ে ২ লক্ষ টাকা লুট করেন দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় দু’দিন পরই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রগতি ময়দানের লুটপাটের ঘটনার চার দিনের মধ্যেই দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। একের পর এক লুটের ঘটনায় দিল্লির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার পদত্যাগের দাবিও করেন কেজরীওয়াল।