— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করল স্কুলেরই এক কর্মচারী! ঘটনার পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই কিশোরী। বদলাপুরের পর এ বার এমন ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি স্কুলে।
ঘটনাটি ঘটেছিল পাঁচ মাস আগে। এক দিন রাতে শৌচকর্ম সারতে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। তখনই দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে এক জন তারই স্কুলের পিওন। ওই ছাত্রীকে আগে থেকেই চিনতেন তিনি। কিশোরীকে কাছেই একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান তাঁরা। এর পর ওই পিওন কিশোরীকে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করেন। গোটা সময়টা বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিয়েছিলেন সঙ্গী যুবক।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ছাত্রীর বয়স ১৩। ধর্ষণের পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাই ভয়ে কাউকেই ঘটনার কথা জানায়নি সে। কিশোরী যখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। এর পরেই থানায় ওই দুই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ছাড়াও পকসো আইনের অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। এখনও চলছে তদন্ত। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগেই মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের এক স্কুলে নার্সারির দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহারাষ্ট্র। বদলাপুর রেল স্টেশন অবরোধ করে চলেছিল বিক্ষোভ। এ বার উত্তরপ্রদেশেও ছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন স্কুলেরই কর্মচারী।