(বাঁ দিকে) তিন বছরের শিশু চেতনা। কুয়োয় আটকে রয়েছে সে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
১২০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও উদ্ধার করা গেল না রাজস্থানের বছর তিনেকের শিশু চেতনাকে। শিশুটির নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। কুয়োর প্রায় ১৭০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে শিশুটি। ২০ ফুট দূরে কুয়োর সমান্তরালে ১৭০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ। ইংরেজির ‘এল’ আকৃতির সেই সুড়ঙ্গ পাইলিং মেশিনের সাহায্যে বানানো হয়েছে। এ বার সেই সুড়ঙ্গে নামার কাজ শুরু করল উদ্ধারকারী দল।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিন জওয়ান অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেই সুড়ঙ্গে নামার কাজ শুরু করেছে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছেন তাঁরা। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগবে শিশুটিকে উদ্ধার করতে। শিশুটি যাতে ১৭০ ফুট থেকে আরও নীচে চলে না যায়, তার জন্য আগেই ‘জে’ আকৃতির হুক এবং ‘আমব্রেলা বেস’ তৈরি করে আটকে রাখার ব্যবস্থা করেছে উদ্ধারকারী দল। ছ’দিন হয়ে গেল চেতনা কুয়োয় আটকে রয়েছে। তবে তাঁর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। আর সময় যত গড়াচ্ছে আশঙ্কা ততই বাড়ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৭০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গে নামার পর আড়াআড়ি ভাবে আরও ১০ ফুট গর্ত খুঁড়তে হবে। তার পরই শিশুটির কাছে পৌঁছনো যাবে। কিন্তু শিশুটির পরিবার এবং গ্রামবাসীদের মন মানছে না। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, আর কত দেরি? কত ক্ষণ লাগবে চেতনাকে উদ্ধার করতে? তার পরিবারের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। তাদের পাল্টা দাবি, ঠিক ভাবেই উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ কিছুটা মন্থর হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে আবার গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত সোমবার খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় রাজস্থানের কোটপুতলির চেতনা। তার পর থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, র্যাট হোল খননকারী, আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ছ’দিন হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার হল না শিশুটি।