—প্রতীকী ছবি।
সংখ্যাতত্ত্ব প্রাচীন শাস্ত্র। যদিও এই শাস্ত্রের চর্চা মুষ্টিমেয় সংখ্যকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে এটিকে জ্যোতিষশাস্ত্রেরই একটি অঙ্গ হিসেবে গণ্য করা হয়। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে সংখ্যার মাধ্যমে বা সংখ্যার সাহায্যে ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে সংখ্যাতত্ত্বের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংখ্যাতত্ত্বের জনপ্রিয় হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি কারণ হল সংখ্যাতত্ত্বের সরলতা। অর্থাৎ, খুব সহজেই এটি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব। সংখ্যাতত্ত্বের গণনা বা ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হওয়াও এর উল্লেখযোগ্যতার একটি কারণ।
কোন ব্যক্তি রাজসুখ ভোগ করবেন বা রাজতুল্য সুখে সুখী হবেন সেটি সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে বিচার করা যায়। রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হলেও রাজসুখ প্রবাদ বর্তমান। রাজসুখ শুনলেই প্রথমেই মনে আসে বিলাসিতা, অর্থাৎ গাড়ি, বাড়ি, অর্থ প্রভৃতি। রাজসুখ বোঝাতে ঠিক এটাই বোঝানো হয়।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে জন্মতারিখ হল ভগবানের আশীর্বাদ। জন্মতারিখের অর্থ হল জন্মদিন, মাস এবং বছর।
অর্থাৎ, জন্মতারিখের সংখ্যার সমাহার। জন্মতারিখ পাঠোদ্ধার করে নির্দিষ্ট মানুষের সম্বন্ধে অনেক গোপন তথ্য জানা বা বলা সম্ভব।
নির্দিষ্ট মানুষের জন্মতারিখে (দিন, মাস এবং বছর) ৪ সংখ্যা, ৫ সংখ্যা এবং ৬ সংখ্যা উপস্থিত থাকলে সংখ্যাতত্ত্ব মতে তিনি রাজযোগ বা রাজসুখের অধিকারী হন। এই ক্ষেত্রে জন্মতারিখ, অর্থাৎ দিন, মাস এবং বছরের যোগফল এক অঙ্কে পরিবর্তন করে এবং নাম (পদবি সহ) এক অঙ্কে পরিবর্তন করে ওই সংখ্যাও ব্যবহার করা যেতে পারে।