কন্যা এ রাশির জাতকের পক্ষে বর্তমান বছরটি অনেকাংশেই শুভ। মাঝেমধ্যে কিছু শারীরিক ক্লেশভোগ ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছাড়া বাকি সব বিষয়েই শুভফল লাভের আশা রয়েছে।
বায়ু-পিত্ত-রক্তজ ব্যাধি, চক্ষুরোগ, বাতজ বেদনা দৈহিক কষ্টের কারণ হতে পারে। তবে সে কষ্ট সহ্যের সীমা অতিক্রম করবে না। আয় হবে প্রচুর, কিছুটা বেশি ব্যয় করতে হলেও সঞ্চয় হবে অনেক। শিক্ষক, চিকিৎসক, ঔষধ ব্যবসায়ী ও রফতানির কাজে লিপ্ত ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় অধিক আয়ের সুযোগ পাবেন এবং সফল হবেন। বিজ্ঞান গবেষক ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক গবেষকেরা বিশেষ খ্যাতি লাভ করবেন। কাজের সুবাদে একাধিক বার বিদেশযাত্রার প্রয়োজন হতে পারে এবং সেই যাত্রা শুভফলদায়ক হবে। পুত্র-কন্যার বিবাহে অধিক অর্থব্যয় হবে। এ বছর সন্তানদের স্বাস্থ্য আগের থেকে অনেক ভাল থাকবে। বিদ্যাচর্চায় তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং পরীক্ষার ফল শুভ হবে। পুত্রের কৃতিত্বে আহ্লাদিত হবেন। ভ্রাতা-ভগ্নীদের সঙ্গে একাধিক বার মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে, তবে তা স্থায়ী হবে না। কনিষ্ঠ ভ্রাতা বা ভগ্নীর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য উদ্বেগ অসম্ভব নয়। একাধিক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এ বছর বন্ধুদের দ্বারা উপকারের আশা না করাই ভাল। কোনও এক বন্ধু জাতকের কর্মক্ষেত্রে পথে বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তবে বিশেষ সফল হবে না। পুরনো শত্রুতার অবসানের যোগ তেমন সবল নয়। অবিবাহিত ব্যক্তির বিবাহযোগ বিদ্যমান। আর ওই যোগ বৎসরের শেষের দিকে প্রবল হবে। বিবাহিত ব্যক্তির দাম্পত্যসুখে চিড় ধরবে না, বরং পত্নীর সাফল্য এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পদের জন্য বিশেষ আনন্দিত ও লাভবান হবেন। পত্নীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটবে না, তবে বায়ু ও অম্লরোগে মাঝেমধ্যে সামান্য কষ্ট হতে পারে। শত চেষ্টা করেও ধর্মাচরণে বেশি দূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে না। তবুও ঈশ্বরাধানায় সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।