বৃশ্চিক জাতক এ বছর বহু সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আবার অনেক সমস্যারই সহজ সামাধানের পথ খুঁজে পাবেন।
শরীর মোটেই ভাল থাকবে না। সারা বছরই কোনও না কোনও রোগে ভুগতে হবে। শরীরে কোনও ক্ষত সৃষ্টি হলে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে বিপদে পড়তে পারেন। আঘাতপ্রাপ্তি, রক্তপাত, অস্থিভঙ্গ প্রভৃতির আশঙ্কা বিদ্যমান। এ বছরে জাতকের শরীরে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় আয়-ব্যয়ের সমতা রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। আয় মন্দ হবে না, কিন্তু ব্যয় হবে প্রচুর। সুতরাং সঞ্চয়ের আশা ক্ষীণ। বরং ঋণ করতে বাধ্য হতে পারেন। কর্মস্থলে গোলযোগ সৃষ্টি, কিছু বদনাম ও অর্থক্ষতি অসম্ভব নয়। বদলি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সাবধানে অগ্রসর হবেন, না হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। ভ্রাতা-ভগ্নীদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় থাকবে। তাদের দ্বারা উপকৃত হবেন। কোনও একটি ভ্রাতার সাফল্যে আনন্দ অনুভব করবেন। তাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। সন্তানদের শরীর ভাল না-ও থাকতে পারে। তাদের আচরণও আপনার মনোবেদনার কারণ হবে। সন্তানদের লেখাপড়ায় মনোযোগ থাকবে না। পরীক্ষার ফলও তেমন ভাল হবে বলে মনে হয় না। জাতকের নিজেরও লেখাপড়ায় অনীহা ও পরীক্ষায় অসাফল্যের যোগ রয়েছে। পত্নীর স্বাস্থ্যহানি বিশেষ চিন্তার কারণ হবে। তাঁর শরীরের অস্ত্রোপচারের যোগ রয়েছে। পত্নীর আঘাতপ্রাপ্তি ও অগ্নিদাহের আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। বন্ধুভাব শুভাশুভ মিশ্রিত। দু-একজন ছাড়া অপর কোনও বন্ধু বিশেষ উপকারে আসবেন না। হিতসাধক কোনও এক নিকট বন্ধুর আকস্মিক মৃত্যু আপনাকে বিচলিত করে তুলতে পারে। পিতৃস্বাস্থ্যের ক্রমাবনতির লক্ষণ স্পষ্ট। পিতৃবিয়োগের আশঙ্কাও অমূলক নয়। মাতার শরীর খুব ভাল না থাকলেও তাঁর বড় ধরনের কোনও রোগভোগের আশঙ্কা নেই। একাধিক নতুন শত্রুর কবলে পড়ে বিব্রত বোধ করতে পারেন। কোনও প্রতিবেশীর সঙ্গে পুরোনো শত্রুতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বছরের মধ্যভাগে ওই শত্রুতার অবসান হওয়ার যোগ রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার ফলে ধর্মাচরণে মনঃসংযোগ অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবে, চেষ্টায় সুফল পাবেন।