How to read palms

একজনের হাতের তালু পড়ে তাঁর সম্বন্ধে অনেক অজানা তথ্য বলে দেওয়া যায়! জেনে নিন পড়ার কায়দা

একজন মানুষকে দেখে তাঁর সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্তে না আসতে পারলেও, মানুষের হাতের তালু দেখে তাঁর সম্বন্ধে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়।

Advertisement
সুপ্রিয় মিত্র
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৪
Unveiling the Secrets of Palmistry, palm reading Guide for beginners

—প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘ দিন একটি মানুষের সঙ্গে মিশেও অনেক সময় সেই মানুষটিকে আমরা ঠিক করে চিনে উঠতে পারি না। মানুষটিকে অচেনা মনে হয়। একজন মানুষকে দেখে তাঁর সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্তে না আসতে পারলেও মানুষের হাতের তালু দেখে তাঁর সম্বন্ধে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়। উক্ত মানুষটির মানসিকতা, ব্যবহার, চালচলন প্রভৃতি সম্বন্ধে অনেক কিছুই বোঝা যায়। জেনে নিন হাতের তালুর কোন লক্ষণ কী নির্দেশ করে।

Advertisement

• যে সকল মানুষের করতল তাঁদের আঙুলের চেয়ে দীর্ঘ, তাঁরা সূক্ষ্ম বিচার করতে পারেন না। সূক্ষ্ম কাজ করার ক্ষেত্রেও তাঁরা বিশেষ পটু হন না। এই সকল জাতক-জাতিকা সূক্ষ্ম বিচার না করে সহজেই সন্তুষ্ট হন এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

• জাতক-জাতিকার করতল কোমল হলে তাঁরা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে দুর্বল হন।

• যে সকল জাতক-জাতিকার করতল মোটা, তাঁরা সব সময় খুব অস্থির থাকেন। স্বার্থপর এবং অহংকারী প্রকৃতির হন।

• আঙুলের অগ্র ভাগ মোটা হলে সেই জাতক-জাতিকা কারিগরি কাজে পটু হন। এঁরা চঞ্চল, দাম্ভিক এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন।

• যে সকল জাতক-জাতিকার আঙুল চৌকো এবং আঙুলের গাঁটগুলি মোটা প্রকৃতির হয়, তাঁরা খুব চিন্তা করেন। এঁরা বিশ্বাসী, ধীর-স্থির এবং সত্যবাদী হন। আইন, ইতিহাস, ব্যাকরণ, গণিতশাস্ত্র, কৃষিবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা প্রভৃতিতে যথেষ্ট উন্নতি করতে সক্ষম হন।

• তর্জনীর নিম্নভাগ,অর্থাৎ তর্জনী এবং তালুর সংযোগস্থল হল বৃহস্পতির স্থান। সেই স্থান যে সকল জাতক-জাতিকার উচ্চ হয়, তাঁরা ধার্মিক, আমোদপ্রিয় এবং উচ্চাভিলাষী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এঁরা প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে ভালোবাসেন।

• মধ্যমার নিম্নভাগ, অর্থাৎ মধ্যমা এবং তালুর সংযোগস্থল শনির ক্ষেত্র। সেই স্থান উচ্চ হলে জাতক-জাতিকারা কাজকর্মে বিজ্ঞ হন। নির্জনতা এবং ধর্ম আলোচনায় আনন্দ পান।

• অনামিকার নিম্নভাগ, অর্থাৎ অনামিকা এবং তালুর সংযোগস্থল হল রবির স্থান। সেই স্থান উচ্চ হলে জাতক-জাতিকা শিল্পবিদ্যা ও সাহিত্যে পারদর্শী হন।

• কনিষ্ঠার নিম্নভাগ, অর্থাৎ কনিষ্ঠা এবং তালুর সংযোগস্থল হল বুধের স্থান। সেই স্থান উচ্চ হলে জাতক ভ্রমণপ্রেমী, চঞ্চলমনা, রসিকতাপ্রিয়, কর্মী, সাহিত্য ও শিল্পে পারদর্শী হন। এরা শাস্ত্রানুশীলন করতে ভালোবাসেন।

• বৃদ্ধাঙ্গুলির নিম্নভাগ, অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তালুর সংযোগস্থল হল শুক্রের স্থান। সেই স্থান উচ্চ হলে জাতক-জাতিকারা নম্র স্বভাবের হন। মনে মায়া-মমতা থাকে। পরহিতৈষী ও সঙ্গীত অনুরাগী হন।

• শুক্রের স্থানের বিপরীত দিক হল চন্দ্রের স্থান। সেই স্থান উচ্চ হলে জাতক-জাতিকা সঙ্গীত অনুরাগী, সৌন্দর্য প্রিয় ও শিষ্টাচারী হন।

• ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ রঙের হাতের তালুবিশিষ্ট ব্যক্তি সাধারণত নিম্ন প্রাণশক্তিযুক্ত হন। এঁদের উদ্দীপনা এবং উত্তেজনা কম। স্বার্থপরতা , অহংকার , সংবেদনহীনতা বা সহানুভূতিহীনতা , উদ্যম বা উৎসাহের অভাব এই সকল জাতক-জাতিকার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও কখনও এই ধরনের ব্যক্তিরা রহস্যময় আচরণও করেন।

Advertisement
আরও পড়ুন