বিশ্বকর্মা পুজো এলেই মনে হয় দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। ছবি- সংগৃহীত
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মাকে দেবশিল্পীও বলা হয়, কারণ মনে করা হয় সকল দেবদেবীর প্রাসাদ তথা অলঙ্কার নির্মাতা বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে যেন শারদোৎসব খুব ওতপ্রত ভাবে জড়িত। বিশ্বকর্মা পুজো এলেই মনে হয় দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যে কোনও কলকারখানায় উন্নতি এবং বাড়ির বাস্তু দোষ কাটাতে এই পুজোর দিন কিছু টোটকা করতে পারলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
টোটকা
১) বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অবশ্যই সকাল সকাল স্নান সেরে নিন। স্নান করার সময়ে জলে কিছুটা কালো তিল মেশান।
২) এই দিন বাড়িতে যা যানবাহন রয়েছে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ধুয়ে নিন। তাতে অবশ্যই ধূপ-ধুনো দেখিয়ে পুজো করুন।
৩) বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাতে কাশ ফুল দিতে হবে।
৪) বিশ্বকর্মা পুজোর নৈবেদ্যতে অবশ্যই যেন সাদা মিষ্টি, যে কোনও হলুদ ফল ও ফুল এবং বাতাবি লেবু থাকে।
৫) বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাতে পুজোর সময়ে একটি ঘুড়ি দিন এবং পুজোর শেষে সেই ঘুড়িটি ব্যবসার জায়গায় বা কলকারখানায় রেখে দিন। এ ছাড়া, ঘুড়িটা নিজের ঘরেও রাখতে পারেন।
৬) বাড়িতে যে কোনও যানবাহন থাকুক, একটা নারকেল নিয়ে সেই যানবাহনকে কেন্দ্র করে সাত বার ঘুরিয়ে নিন (ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিক অনুযায়ী)।
৭) এই দিন দুটো লেবু নিয়ে গাড়ির সামনের চাকা এবং পিছনের চাকায় লেবুটা রেখে গাড়িটা একটু চালিয়ে নিন। এবং পরে লেবুগুলি কোনও প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন।
৮) এই দিন অবশ্যই বাড়িতে নিরামিষ আহারের ব্যবস্থা রাখবেন।
৯) এই দিন বাড়িতে যদি কোনও অতিথি আসেন, তাঁকে অবশ্যই কিছু আহার করে তবেই ফেরাবেন।