পোষ্যের সঙ্গে হাঁটাহাটি করলে কী লাভ হয়? ছবি:ফ্রিপিক।
শরীর ভাল রাখতে নিয়মিত হাঁটাহাটি করেন। কখনও বাড়ির পোষ্যকে হাঁটার সঙ্গী করার কথা ভেবেছেন কি? শরীর ভাল রাখতে মানুষের যেমন হাঁটাহাটি দরকার, তেমনই খোলা হাওয়ায় চনমনে থাকে সারমেয়ও।
তবে দু’জনে একসঙ্গে হাঁটলে কি বাড়তি কোনও লাভ হবে? মনোরোগ চিকিৎসক শর্মিলা সরকার বলছেন, ‘‘হাঁটাহাটির উপকারিতা আছেই। তবে পোষ্য সঙ্গে থাকলে, তার সঙ্গ বাড়তি ভাল লাগা তৈরি করতে পারে। ঠিক যেমন মানবশিশুর সঙ্গে যাপন ভাল মুহূর্ত তৈরি করে, তেমনই পোষ্যের সঙ্গও মনে ভাল লাগার সঞ্চার করতে পারে।’’
কী কী উপকার হয় এতে?
১. একলা হাঁটা বা ছোটা কখনও একঘেয়ে মনে হতেই পারে। আলসেমি চেপে বসতে পারে। তবে পোষ্যের পিছন পিছন ছোটাছুটি করতে হলে শরীরচর্চাও হবে নিজে থেকে। পোষ্যও এতে সুস্থ থাকবে। ঠিক যেমন সন্তানকে খাওয়াতে গিয়ে, সামলাতে গিয়ে মাকে ছোটাছুটি করতে হয়, এ-ও ঠিক তেমন।
২. খোলা আকাশের নীচে সারমেয় ঘুরতে ভালবাসে। খেলাধুলো করতে চায়। পোষ্যও ভালবাসার জন। তাকে ছোটাছুটি করতে দেখলে, খুশি থাকতে দেখলে তার মনিবের মুখে হাসি ফুটবে সেটাই স্বাভাবিক। খোলা হাওয়া, পোষ্যের সঙ্গ, ছোটাছুটি কিন্তু ‘হ্যাপি হরমোন’, অর্থাৎ মেজাজ ভাল রাখতে যে ধরনের হরমোন সাহায্য করে, সেগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. সারমেয়র মন ভাল রাখার জন্য, তার সঙ্গে সখ্য বাড়ানোর জন্যও বাড়তি সময় কাটাতে বলেন পশুচিকিৎসকেরা। আবার পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটালে মানুষের মন ফুরফুরে থাকে, বলছে জাপানের বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষা। নিয়মিত সারমেয়কে নিয়ে হাঁটতে গেলে তার সঙ্গে সময় কাটানো হবে। বাড়বে দু’পক্ষের মানসিক বন্ধন।
৪. সারমেয় সঙ্গে থাকলে অনেকেই তাকে দেখতে আসেন, আদর করতে কৌতূহলী হন। যে জায়গায় পোষ্যকে নিয়ে যাবেন, সেখানে যদি আরও কেউ সারমেয় নিয়ে আসেন, তা হলে লোকজনের সঙ্গে আলাপচারিতা বাড়বে। নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ, গল্পগুজব সামাজিক মেলামেশার পরিধি বাড়তে সাহায্য করবে।
৫. হাঁটা, জগিং, ছোটাছুটির অনেক উপকারিতা আছে। ওজন কমাতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে হাঁটাহাটি। মানুষ এবং পোষ্য— দু’জনের শরীর ভাল থাকবে সঙ্গযাপন এবং একসঙ্গে হাঁটহাটি, খেলাধুলায়।