Curd with Raisins Benefits

কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়ছে? কী ভাবে দই খেলে রোগ-বালাই ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন?

কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। সময়ে দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই জব্দ হবে নানা রোগব্যাধি। ডায়েটে রোজ এই দই রাখলে কী কী উপকার পাবেন?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২২
Curd

গরমের দিনে দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই জব্দ হবে নানা রোগব্যাধি। ছবি: শাটারস্টক

গরমের সময়ে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই দই রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। এই সময়ে তাপপ্রবাহের ধাক্কা সামলে শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই। প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে দই। তবে জানেন কি দই পাতার সময়ে কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে দিলে দইয়ের উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ? কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। গরমের দিনে দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই জব্দ হবে নানা রোগ-ব্যাধি।

কী ভাবে তৈরি করবেন কিশমিশ দেওয়া দই?

Advertisement

প্রথমে একটি বাটিতে গরম দুধ নিন। এ বার তার মধ্যে দিয়ে দিন চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ। এর পর সামান্য দই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন, যেন পাত্রের সারা গায়ে দইয়ের মিশ্রণ ভাল করে লেগে যায়। তার পর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আট থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।

কী কী গুণ রয়েছে কিশমিশ মেশানো দইয়ে?

১) গরমে অনেকের হজমের সমস্যায় ভোগেন। কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই দই রাখলে বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এটি খাওয়া যেতে পারে।

২) একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেকেই। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।

curd

এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ছবি: শাটারস্টক।

৩) যাঁদের পাইরিয়ার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও কিশমিশ-দই বেশ উপকারী। এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর, যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। মাড়ির রক্তপাত কমায়।

৪) এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫) দুপুরের দিকে হালকা খিদে পেলে এই দইয়ের মিশ্রণ খেতে পারেন। অনেক ক্ষণ পেট ভরে থাকে। হজম ভাল হয়, তাই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৬) ঋতুঃস্রাবের সময়ে অনেকেই পেটের ব্যথায় কষ্ট পান। এই সমস্যায় উপশম পেতে পারেন দই-কিশমিশের মিশ্রণ খেলে।

৭) চুলের রুক্ষতা দূর করতেও ডায়েটে কিশমিশ-দই রাখতে পারেন। গরমে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা কমাতেও এমন দই খেয়ে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement