চিকিত্সকরা হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পরেও দু’মাস সময় নেওয়ার পরামর্শ দেন। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে পরিবার পরিকল্পনা করা আদৌ কতটা নিরাপদ সে নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কি সন্তানধারণ করা যাবে—সেই নিয়েও চিন্তিত অনেকে। যারা গর্ভধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন, ইদানীং তাঁদের মনেও রয়েছে নানান সংশয়। কোনও মহিলা যদি সদ্য কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন তাঁরাও কি আইভিএফ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে পুরোটাই নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। যদি কোভিড সংক্রমণ হালকা হয় এবং আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবেই আইভিএফ চিকিত্সা করা নিরাপদ। যদি সংক্রমণ মাঝারি থেকে গুরুতর হয়, তা হলে সবার আগে একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। সে ক্ষেত্রে কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। চিকিত্সক সম্মতি দিলে তবেই আইভিএফ পদ্ধতির কথা ভাবুন।
চিকিত্সকরা হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পরেও দু’মাস সময় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সংক্রমণ মাঝারি থেকে গুরুতর হলে, সম্পূর্ণরূপে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করবে যে কোন সময়টি আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণের জন্য নিরাপদ।
কোভিডে আক্রান্ত হলে আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণের পূর্বে কোন বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন?
·কোভিডের দু’টি টিকা যদি না নিয়ে থাকেন তা হলে সবার আগে টিকা নিন।
·একবার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যে এই ভাইরাস আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে না তার কোনও মানে নেই। তাই কোভিডের যাবতীয় নিয়মবিধি মেনে চলুন।
·এই সময় শরীরকে সুস্থ রাখা ভীষণ জরুরি। সম্পূর্ণ রূপে সেরে ওঠার পর হালকা ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। যোগাসনও করতে পারেন। ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। শরীরচর্চা আপনার কেবল সুস্বাস্থ্যের জন্যই নয় মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর জবাব নেই।
·পুষ্টিকর খাবার খান। বাইরের খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল।