অনেক ধরে ডায়েট করছেন, মাঝে এক দিন অনায়াসে খেতেই পারেন ‘চিট মিল’। প্রতীকী ছবি।
রোগা হওয়ার জন্য পরিশ্রম কম করেন না কেউই। সারা দিনের হাজার ব্যস্ততার মাঝে শরীরচর্চার জন্য সময় বার করা, কড়া ডায়েট করা, অফিসে লিফ্টের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, সবই করছেন। তাই বলে পছন্দের বিরিয়ানি, চাউমিন, পিৎজ়ার সঙ্গে পুরোপুরি আড়ি করে দেবেন? এই ধরনের খাবারগুলি ওজন বাড়িয়ে দেয়, সে কথা ঠিক। তবে কালেভদ্রে নিয়ম ভাঙলে কিন্তু সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অনেক ধরে ডায়েট করছেন, মাঝে এক দিন অনায়াসে খেতেই পারেন ‘চিট মিল’। তাতে কোনও দোষ নেই। তবে সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক সপ্তাহ ডায়েট করে পরের কয়েক দিন শুধু পছন্দের খাবারই খেয়ে গেলেন, তা হলে কিন্তু হবে না। ডায়েটের ফাঁকেই একটু বুদ্ধি করে খেতে হবে চিট মিল।
তবে চিট মিল সকলের জন্য নয়। সদ্য শরীরচর্চা করছেন কিংবা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে সবে ডায়েট চালু করেছেন? সে ক্ষেত্রে ডায়েট শুরুর অন্তত এক মাসের মধ্যে চিট মিল না খাওয়াই ভাল। শরীরে যত বেশি মেদ থাকবে, গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তবে তার আগে জানতে হবে, আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ। বাইরের খাবার অত্যধিক খাওয়ার প্রবণতা যদি এর কারণ হয়ে থাকে, তা হলে চিট মিল না নেওয়াই ভাল। তা হলে বাইরের খাবারের প্রতি আসক্তি দূর করা সম্ভব হবে না।
চিট মিল খেতে চাইলে একটু মাথা খাটিয়ে খেতে হবে। হয় শরীরচর্চার আগে খান, নয় তো পরে। শরীরচর্চার আগে খেলে গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়া রুখে দেবে। পরে খেলে তা পেশির ক্ষয় রুখতে সাহায্য করবে। তবে শরীরচর্চা করলেই ফ্যাট গলে যাবে ভেবে বাইরের খাবার একটু বেশি খেয়ে নিলেন— এমন করা যাবে না। রোগা হওয়ার পর্বে কী খাচ্ছেন, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কতটা খাচ্ছেন। খাবারের পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
চিট মিল খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিট মিল যত ছোট হবে, যত কম সময় ধরে খাবেন, শরীরে মেদ জমার পরিমাণও ততই কম হবে। চিট মিল যেন কখনওই ৩০-৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে না খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখুন। অনেকেই চিট মিলের পরিবর্তে, চিট ডে বেছে নেন। অর্থাৎ, সারা দিন ধরেই চলে দেদার খাওয়াদাওয়া। এমনটা না করে দিনের একটি বেলার খাবার পছন্দ অনুযায়ী খান।