Cholesterol

রোজ ডিম খেলে কতটা বাড়ে কোলেস্টেরল? কতটা ক্ষতি হয় শরীরের? কী বলছে আধুনিক গবেষণা

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-এর একটি সহজলভ্য উৎসও বটে। তা বলে কি রোজ ডিম খাওয়া ভাল? গবেষণায় উঠে এল বেশ কিছু অজানা তথ্য।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:১৯
ডিম কি কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়?

ডিম কি কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়? প্রতীকী ছবি

বিজ্ঞাপনী জিঙ্গলে মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, শিশুদের পুষ্টিতে রোজ একটি ডিম খাওয়ার কথা। কিন্তু যাঁরা মাঝবয়স পেরিয়ে গিয়েছেন, কিংবা সে দিকে এগোচ্ছেন, তাঁদের জন্য রোজ ডিম খাওয়া কি আদৌ নিরাপদ?

পুষ্টির কথা ভাবলে, ডিমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২। তা ছাড়া, একটি ডিমে কমবেশি ৭৫ ক্যালোরি, পাঁচ গ্রাম ফ্যাট, ছয় গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। শেষটা শুনে আঁতকে উঠলেন তো?

Advertisement

‘ডিমে কোলেস্টেরল বাড়ে’ এই ধারণা নতুন নয়। অনেকেই ভাবেন, ডিম খেলে লাফিয়ে বাড়ে কোলেস্টেরল। অনেকেই মধ্যবয়স পেরিয়ে গেলে কোলেস্টেরলের বেড়ে যাবে ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। গবেষণা কিন্তু বলছে অন্য কথা। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণা বলছে, সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক একটি করে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়।

এক জন সুস্থ ব্যক্তি খাবারের মাধ্যমে মোটামুটি দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল নিতে পারেন। কাজেই রোজ একটি করে ডিম খেলে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে অনেক সময় সংবহনতন্ত্রের সমস্যা থাকলে তা আগে থেকে বোঝা যায় না। অনেকেই বুঝতে পারেন না নিজের অসুস্থতার কথা। তাই সতর্ক থাকতে, মধ্যবয়স পেরিয়ে গেলে রোজ ডিম খাওয়ার বদলে সপ্তাহে তিনটি করে ডিম খাওয়া যেতে পারে। মন খুঁতখুঁত করলে ডিম খেতে পারেন কুসুম বাদ দিয়ে।

ডিমে থাকে অ্যাভিডিন নামের একটি গ্লাইকোপ্রোটিন।

ডিমে থাকে অ্যাভিডিন নামের একটি গ্লাইকোপ্রোটিন। ছবি: সংগৃহীত

তবে সকলের শরীর সমান নয়। বিশেষ করে, ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগী কিংবা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় ভোগা মানুষদের ডিম খাওয়ায় লাগাম টানার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ডিমে থাকে অ্যাভিডিন নামের একটি গ্লাইকোপ্রোটিন। এই উপাদানটি কিছু ক্ষেত্রে দেহে ভিটামিন বি৭-এর ভারসাম্য বিগড়ে দিতে পারে। কাজেই রোজ ডিম খেতে চাইলে বা পুষ্টি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন
Advertisement