ফাইল চিত্র।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যেই মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই সংক্রমণ উদ্বেগে রেখেছে কেন্দ্রকেও। এই পরিস্থিতিতে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা জানান, তাঁরা ডেনমার্কের একটি সংস্থার থেকে স্মলপক্সের প্রতিষেধক আমদানি করছেন।
বিশ্বের ৭৫টি দেশে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। ইতিমধ্যেই ভারতে চার জনের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি দিল্লির বাসিন্দা। তাঁর কোনও বিদেশ সফরের নজির নেই। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। এরই মধ্যে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, বাভারিয়ান নর্ডিক নামে ডেনমার্কের একটি সংস্থার সঙ্গে তাঁদের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই ওই সংস্থা থেকে স্মলপক্সের টিকা আমদানি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘আমরা ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি…। অন্য দেশের মতো আমাদের স্মল পক্সের টিকা মজুত রাখা উচিত। তবে এ বিষয় ভারত সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তারা স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করবে। কিন্তু আমরা নিজেদের দায়িত্বে স্মলপক্সের টিকা আমদানি করব।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্মলপক্সের টিকা আমদানি নিয়ে তাঁরা এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেননি। ওই টিকা প্রস্তুতে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হচ্ছেন। বিহারের পটনায় এক মহিলা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনুমান। ওই রোগে আক্রান্তের যাবতীয় উপসর্গ দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশেও এক মহিলা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে অনুমান। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেছেন, ‘‘দেশে চার জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে। বিমানবন্দরগুলিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৫টি কেন্দ্র চালু রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’
দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির তেমন কোনও হেরফের হয়নি। কেন্দ্রের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৩০ জন নতুন করে সংক্রমিত। ওই সময়ের মধ্যে ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে তামিলনাড়ু। সংবাদ সংস্থা