ডায়েট মানে তেল, মশলা ছাড়া খাবার খেতে হবে, এমনটাও কিন্তু নয়। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান কেউ বা সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। অনেকেরই আবার শরীরচর্চা করতে খুব বেশি ভালবাসেন না। তাঁরা ভরসা রাখেন ডায়েটের ওপর।
ডায়েটের অর্থ কিন্তু না খেয়ে থাকা বা খাবার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া একেবারেই নয়। ওজন তবেই কমবে, যখন আপনি সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
পুষ্টিবিদরা সব সময় পছন্দের খাবারই ডায়েটে রাখতে বলেন। ডায়েট মানে তেল, মশলা ছাড়া খাবার খেতে হবে, এমনটাও কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদরা বলেন খাবারের প্লেটে কী নিয়ে নিয়ে বসছেন, সে বিষয় সতর্ক থাকুন। ওজন ঝরাতে আপনার প্লেটটি কী ভাবে সাজাবেন রইল তার হদিশ।
প্লেটে এক চতুর্থাংশ রাখুন প্রোটিন। আর বাকিটা করুন ভর্তি শাক-সবজি আর কার্বোহাইড্রেট দিয়ে। এ ছাড়াও পাতে ভাল ফ্যাট রাখতে হবে ২ চামচ। প্রোটিনের মধ্যে মাছ, ডিম, চিকেন, সোয়াবিন রাখতে পারেন, যা আমাদের পেট ভরাবে। সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে। জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন শস্য, মটরশুঁটি এবং বিভিন্ন ফল আমাদের শরীরের জন্য ভাল। এই প্রকার শর্করা সরাসরি রক্তে মিশতে পারে না, সেই সঙ্গে জটিল রোগের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়। এর ফলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফ্যাট মানেই শরীরের জন্য খারাপ এমনটা কিন্তু নয়। রোজের খাদ্যতালিকায় ভাল ফ্যাট রাখতেই হবে। অলিভ অয়েল, ঘি, বাদাম এ সব কিন্তু আমাদের শরীরে ভাল ফ্যাটের যোগান দেয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখতেই পারেন খাদ্যতালিকায়। বাদাম থেকেও আমরা শরীরের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পেয়ে থাকি।
খুব বড় থালা নিয়ে কখনই খেতে বসবেন না। অনেক সময়ই আমাদের চাহিদার তুলনায় চোখের খিদে বড় হয়ে দাড়ায়। তখন আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। ছোট থালায় খাবার সাজিয়ে খেতে বসলে প্লেটটি দেখতেও ভরা লাগে। আর পরিমাণেও কম খাওয়া হয়।
প্লেটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। খাদ্যতালিকায় বেশি করে প্রোটিন রাখুন। এতে শরীরের যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তেমনই শরীর সুস্থও থাকবে।