গ্রিন টি ক্যান্সারের ঝুঁকিও হ্রাস করে। ছবি: সংগৃহীত
আড্ডা হোক কিংবা অবসাদ দূর করতে অথবা কাজের ফাঁকে ক্লান্তি ভোলাতে এক কাপ চায়ের কোনও তুলনা নেই। অনেকেই আবার সুস্বাস্থ্য পেতে ভরসা রাখেন গ্রিন টি-র ওপর। ওজন ঝরানো, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজমে সাহায্য এবং কোলেস্টেরল কমাতে জবাব নেই এই পানীয়টির।
গ্রিন টি আপনাকে দীর্ঘজীবী হতেও সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির দারুণ উৎস। গ্রিন টি ক্যান্সারের ঝুঁকিও হ্রাস করে। অনেকেই গ্রিন টি দিয়ে দিনের শুরুটা করেন। তবে সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে আদৌ কি সুফল মেলে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয় কখনই সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। গ্রিন টিতে ট্যানিন থাকে, যা পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই খালি পেটে পান করলে পেটে ব্যথা করতে পারে। অ্যাসিডিটির কারণে বমি বমি ভাবও হতে পারে। তা ছাড়া খালি পেটে গ্রিন টি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। পেপটিক আলসারের রোগীদের জন্য গ্রিন টি ভাল নয়।
গ্রিন টিতে ক্যাফিন থাকে, যা কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনগুলি উত্পাদন বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই হৃদ্রোগীদের পক্ষে ভাল নয় এই গ্রিন টি।
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দিনে তিন কাপের বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন না বিশেষজ্ঞরা। বেশি পরিমাণ গ্রিন টি শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে পারে। খুব সকালে বিপাকক্রিয়ার হার সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সকালে গ্রিন টি খাওয়া মোটেও ভাল নয়। সন্ধেবেলা আমাদের বিপাকক্রিয়ার হার কমে যায়, তখন গ্রি টি তা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল দশটা থেকে ১২ টার মধ্যে কিংবা সন্ধেবেলা।