ক্লান্তি বা দুর্বলতা হল রক্তাল্পতার সাধারণ লক্ষণ। প্রতীকী ছবি।
চেহারা বাইরে থেকে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। খিদে নেই। অফিস যাতায়াতের ধকলে দুর্বল হয়ে পড়ছে শরীর। গরমের শুরুতে অনেকেই এই সমস্যাগুলিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণ হিসাবে ভুল করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, এগুলি হল রক্তাল্পতার লক্ষণ।
ক্লান্তি বা দুর্বলতা হল রক্তাল্পতার সাধারণ লক্ষণ। শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ফ্যাকাসে চামড়া, বুকে ব্যথাও রক্তাল্পতার উপসর্গ। মূলত আয়রনের অভাবেই এমনটা হয়। রক্তাল্পতার ফলে অনেক সময় অবসাদ তৈরি হয়। অনেকের হৃদ্স্পন্দনের গতি বেড়ে যায়।
মূলত রক্তে রক্তকণিকার উপাদান কমে গেলে কিংবা রক্তের লোহিতকণিকা নষ্ট হয়ে হলে রক্তাল্পতা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, অর্শ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগলেও রক্তাল্পতা দেখা যায়। ম্যালেরিয়া, যক্ষা, যকৃত কিংবা কিডনির সমস্যাও এই রোগকে বয়ে আনে। আবার ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থেকেও এই রোগ হতে পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে কৃমি এর বড় কারণ।
সামুদ্রিক মাছ
চিংড়ি, টুনা, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছে ভাল মাত্রায় আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এই সব মাছ খেতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ডার্ক চকোলেট। মিল্ক চকোলেট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ডার্ক চকোলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটবে।
ড্রাই ফ্রুটস
হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কিশমিশ, কাজু, খেজুরের মতো শুকনো ফল খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে এই সব ফলও খেতে পারেন।