No Sugar Diet

বেশি চিনি খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে! কিন্তু মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিলে কী হবে, জানা আছে?

স্থূলত্ব, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি। সেই চিনি খাওয়া যদি বন্ধ করে দেন, তা হলে সমস্যা কোথায়?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১৯:২৮
What changes you can see when you stop consuming sugar

মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করেছেন? ছবি: সংগৃহীত।

বেশি চিনি খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে তেমন ভাল নয়, এ কথা তো সকলেরই জানা। তবু মাঝে মধ্যে তো মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। লোভ সামলাতে না পারলে মিষ্টি খাওয়া হয়েই যায়। আবার, সচেতন ভাবে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। চিনি দেওয়া কোনও খাবারই খেতে চান না তাঁরা। যে সব খাবারে চিনি ‘লুকোনো’ থাকে, মুখরোচক সেই সব খাবারকেও ব্রাত্য করে রেখেছেন। স্থূলত্ব, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি। হঠাৎ করে চিনি খাওয়া বন্ধ করলে তার প্রভাব কিন্তু শরীরে পড়ে। জানেন সেগুলি কী?

Advertisement

১) চিনি দেওয়া খাবার খাওয়া বন্ধ করলে ওজন ঝরানো সহজ হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মিষ্টি দেওয়া খাবার না খাওয়ার অভ্যাফ দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

২) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন, শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৩) দাঁতের সমস্যা রোধ করতে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হয়। যার ফলে দাঁত, মাড়ির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

What changes you can see when you stop consuming sugar

দাঁতের সমস্যা রোধ করতে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

৪) ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকেও বাঁচাবে চিনি খাওয়ায় রাশ টানা। এর ফলে ত্বকের টান টান ভাবও বজায় থাকবে।

৫) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement