Weight Loss Tips

৪০-এর পর ওজন কমাতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন? জিমে না গিয়েও মেদ ঝরাবেন কোন উপায়ে?

৪০-এর পর ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেক মহিলাই। ৪০-এর পর হজমক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে, সঙ্গে শরীরে হরমোনেরও নানা রকম পরিবর্তন আসে। জেনে নিন, ৪০-এর পর আর কী কী নিয়ম মেনে চললে, রোগা হওয়ার যাত্রাপথ সহজ হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ১৫:২১
Weight loss tips for women in their 40s

৪০-এর পর ওজন নিয়ে বেশি সতর্ক হবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

ওজন কমানো একেবারেই সহজ কাজ নয়। রোগা হওয়ার ইচ্ছা শুধু মনে মনে পোষণ করলেই চলবে না, তা সত্যি করতে পরিশ্রমও করতে হবে। নিষ্ঠা ভরে ডায়েট, শরীরচর্চা করলে তবেই ছিপছিপে হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়। কম বয়সে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে আর পরিমিত খাবার খেয়ে রোগা হওয়া যায়। তবে বয়সের কোঠা যদি ৪০ পেরোয়, তা হলে ওজন কমানো সত্যিই দুষ্কর হয়ে পড়ে। ৪০-এর পর যদি ওজন বাড়তে শুরু করে, তা হলে তা বেশ চিন্তার বিষয়। এই সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই বয়সে ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেক মহিলাই। ৪০-এর পর হজমশক্তি দুর্বল হতে থাকে, সঙ্গে শরীরে হরমোনেরও নানা রকম পরিবর্তন আসে। জেনে নিন, ৪০-এর পর আর কী কী নিয়ম মেনে চললে, রোগা হওয়ার যাত্রাপথ সহজ হবে।

Advertisement

১) ডায়েটে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা কমাতে হবে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। বয়স যা-ই হোক, হজমের গোলমালে নাজেহাল হতে হবে না। হজম ঠিকঠাক হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

২) মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে। মিষ্টির প্রতি যতই ভালবাসা থাক, তা বেশি খাওয়া যাবে না। ৪০-এর পরে ওজন বশে রাখতে মিষ্টিপ্রেমে রাশ টানতেই হবে। আর মিষ্টি খেলেও নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম মেনে খেতে হবে। ইচ্ছেমতো মিষ্টি খেয়ে ফেললে চলবে না।

৩) সকালের দিকে ভারী খাবার খাওয়া জরুরি। অনেকেই সকালের জলখাবার খান না। কিংবা খেতে খেতে বেলা পার হয়ে যায়। তেমনটি করলে চলবে না। ঘড়ি ধরে খাবার খেতে পারলে আরও ভাল। ডায়েটে ঘরে তৈরি করা খাবার বেশি করে রাখুন। আগের দিনই পরের দিনের মেনু ঠিক করে রাখুন। কী খেতে হবে, তা মাথায় থাকলে বাইরের ভাজাভুজির প্রতি আগ্রহ কমবে।

Weight loss tips for women in their 40s

রোজ কিছু ক্ষণ হলেও হাঁটাচলা করুন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) রোজ কিছু ক্ষণ হলেও হাঁটাচলা করুন। ব্যস্ততা আর কাজের চাপে নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় পান না অনেকেই। তবে কিছু ক্ষণ হাঁটাচলা করলেও কিছুটা শরীরচর্চা হয়। আর যদি অল্প সময় বার করে শরীরচর্চা করতে পারেন, তা হলে তো খুবই ভাল। জিমে যেতে ইচ্ছে না করলে বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম কিংবা যোগাসন করতে পারেন।

৫) খাবার সময় জল খাওয়া নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে খাওয়ার আগে জল খেয়ে ফেলার অভ্যাস কিন্তু সবচেয়ে ভাল। আগে জল খেয়ে নিলে পেট ভরা থাকে। তখন খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করে না। পরিমিত মাত্রায় খাওয়াদাওয়া করলে হজম করতেও সুবিধা হয়, আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন
Advertisement