Best Way to drink Coffee

ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিয়েই শুরু হোক দিন, অম্বল কাছে ঘেঁষবে না! কতটা, কী ভাবে খাবেন?

কফি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে নাকি জটিল থেকে জটিলতর স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমে। স্মৃতিনাশ, পারকিনসন্সের মতো রোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুধু কতটা খাবেন জানতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ১৫:২৯
Ways to Make Your Coffee Super Healthy, without any side effects

কফি কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন। ছবি: ফ্রিপিক।

এক পেয়ালা চা, নাকি এক কাপ কফি? কেউ বলবেন চা। আবার কেউ এগিয়ে রাখবেন কফিকেই। দিনের শুরু হোক বা সান্ধ্য আড্ডা, এক কাপ কফি পরিবেশটাই বদলে দিতে পারে।

Advertisement

গরম ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দিলে খিটখিটে মেজাজও ফুরফুরে হবে নিমেষে। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক বার তাঁদের একটি গবেষণায় দাবি করেছিলেন, কফি খেলে মস্তিষ্কের কোষগুলি সতেজ থাকে।

কফির বীজ থেকে কফি পাউডার তৈরির সময় যে উপাদান বার হয়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর জন্য খুব ভাল। এই উপাদানই যে কোনও জটিল স্নায়ুর রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। কফি মুহূর্তে মনকে তরতাজা করে দেয় ঠিকই, কিন্তু দিনে ঘন ঘন খেতে থাকলেই মুশকিল। তখন আবার গ্যাস-অম্বলের সমস্যা শুরু হয়ে যাবে। ক্যাফিনের প্রতি আসক্তিও বাড়বে। তাই কফি খেতে হবে মেপে, সময় বুঝে ও নিয়ম মেনে।

কফি কী ভাবে খেলে মনও ভরবে, উপকারও হবে ষোলো আনা?

১. প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন নৈব নৈব চ। কম ক্যালোরির সুষম খাবার ও পরিমিত ব্যায়ামের সঙ্গে দিনে কম করে ৩–৪ কাপ কফি খেলে সব দিক বজায় থাকবে। তবে একবার যদি দুধ, চিনি দিয়ে কফি খান, তা হলে পরে কালো কফি খেলেই ভাল।

২. কফি খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। জল হজম করতে সাহায্য করবে। পরিপাক ক্রিয়ার সময় যে অ্যাসিডগুলি বার হয়, সেগুলিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

৩. ঘন ঘন কফি খাওয়ার নেশা থাকলে মাপ ঠিক করে নিন। দিনের শুরুটা যদি বড় কাপে কফি খান, তা হলে পরের দুই থেকে তিন কাপ যেন ছোট হয়। আর কফি পাউডারও কম করে নেবেন।

৪. একদম খালি পেটে কফি খেলেই হজমের গোলমাল হবে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে কিছু খেয়ে তার পর কফি খেতে। সকালে কফি খাওয়ার ইচ্ছা হলে প্রাতরাশের পরেই খাবেন।

৫. ক্যাফিন বেশি সহ্য হয় না অনেকেরই। কফি খেলেই গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে কফি বানানোর সময় কিছুটা দারচিনি মিশিয়ে দিতে পারেন। দারচিনি গুঁড়ো করে রাখবেন বাড়িতেই। দুধ গরম হলে তাতে কিছুটা দারচিনি মিশিয়ে তার পর কফি পাউডার দিন। দারচিনির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৬. কৃত্রিম চিনি কখনওই মেশাবেন না কফিতে। বাজার থেকে কেনা কৃত্রিম চিনি ইনসুলিনের মাত্রায় হেরফের আনে। ফলে তাতে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বদলে কফির স্বাদ বাড়াতে তাতে দারচিনির সঙ্গে গুড় মেশাতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement