ভাল থাকার সহজ উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
সুখের সংজ্ঞা কী? দুশ্চিন্তা ছেড়ে হাসিখুশি থাকা যায় কী ভাবে? এই প্রশ্ন এখন বেশির ভাগ মানুষের। আজকাল সকলেই ছুটছি। কাজের জগতের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনেও মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি। অহেতুক চিন্তা মনের চাপ বাড়ায়। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে গিয়ে উদ্বেগ যদি আকাশছোঁয়া হয়ে যায়, তা হলে সুখ মনের জানলা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। মনোবিদেরা বলেন, নিজের ভাল থাকা, নিজেকে সুস্থ এবং সুখী রাখতে হবে নিজের দায়িত্বেই। তার জন্য কিছু অভ্যাসে বদল আনা খুবই দরকার। নিজের সুস্থতা এবং সুখের ক্ষেত্রে নিজের ভাল লাগাটাই আসল কথা। নিজে ভাল থাকলেই চারপাশের সকলকে ভাল রাখা যায়।
রোজের অভ্যাসে কী কী বদল আনলে সব সময়েই ভাল থাকা যায়, তার হদিস দিলেন মনোবিদেরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না
‘ওর ওটা আছে, আমার নেই কেন’— এ ধরনের চিন্তা অহেতুক উদ্বেগ বাড়ায়। এমনকি অন্যের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে তুলনা টানা শুরু করলে এক সময়ে গিয়ে মনের উপর চাপ বাড়বেই। সকলের প্রতিভা এক রকম নয়। অন্যের মধ্যে যা নেই, তা হয়তো আপনার মধ্যে আছে। নিজের গুণ, বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন। কাজে ও ভাবনায় নতুনত্ব আনুন। তা হলেই ভাল থাকা যাবে।
২. ইতিবাচক ভাবনা খুব দরকার
আপনি কাজটা যে ভাবে করবেন, তার ফলটাও সে রকমই হবে। এটা মাথায় রেখেই কাজে লেগে পড়ুন। ইতিবাচক চিন্তা করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দুটিই থাকবে। যদি একবারে সাফল্য না আসে, তা হলেও ভেঙে পড়বেন না। আত্মবিশ্বাস অটুট থাকলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবেই।
৩. নিজেকে ভালবাসুন
মনোবিদেদের পরামর্শ, সবচেয়ে আগে নিজেকে ভালবাসতে শেখা দরকার। সংসার, পেশা সামলেও নিজের জন্য সময় রাখুন। সেই সময়টা শুধু আপনার জন্যই বরাদ্দ থাক। নিজের পছন্দের কাজ করুন। ভাল লাগলে ঘুরে আসুন। শখের বিষয়গুলি চর্চা করুন। কিংবা পরিবারের সবার জন্য কিছু একটা রান্না করে ফেলুন ঝটপট।
৪. অন্যের কথায় কান দেবেন না
অন্যের কথা শুনে পথ চলবেন না। এতে আপনার লাভের থেকে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আপনি কখনওই অন্যের সব চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না। তাই নেতিবাচক কথায় কান না দেওয়াই ভাল। বরং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৫. আত্মবিশ্বাস বাড়ান
রাগ, ক্ষোভ, ঈর্ষা, অহংকার, স্বার্থপরতা, একগুঁয়েমি এখন অনেকের মধ্যেই বেড়ে চলেছে। কঠিন সময়ের চাপ নেওয়ার ক্ষমতাটুকুই তাঁদের যেন নেই! অল্পেই ভেঙে পড়া, নিজের মতামতকে জোর দেওয়া, অপরের প্রতি ঈর্ষার মনোভাব এবং আমিত্ব—এমন ব্যবহারে এ সবের প্রতিফলন বেশি। ফলে হাসিখুশি থাকা তো দূর, মনের চাপ ও অবসাদ দিন দিন বাড়ছে অনেকের মধ্যে। এ সবের থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের উপর আস্থা ও ভরসা রাখলে, যে কোনও কঠিন সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।