ওজন কমানোর নয়া উপায়। ছবি:সংগৃহীত।
ওজন বেড়ে গেলে শুধু চলাফেরায় নয়, আরও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বাড়তি ওজন কিছু শারীরিক সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। তাই বাড়তি ওজন ঝরাতে সব রকম ভাবে চেষ্টা করেন অনেকেই। সব কিছুর মতো ওজন ঝরানোরও নির্দিষ্ট কিছু পন্থা রয়েছে। উপোস করে থাকলে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে হিতে আবার বিপরীত হতে পারে। নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে ওজন ঝরানো সত্যিই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু রোগা হওয়ার একমাত্র উপায় শরীরচর্চা নয়। শুধু তো শরীরচর্চা করলে হবে না। দ্রুত রোগা হতে জীবনধারাতেও আনতে হবে বদল।
পর্যাপ্ত ঘুম
গবেষণা বলছে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। চিকিৎসকেদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীরও। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।
প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া
ওজন কমানোর পথে প্রক্রিয়াজাত খাবার একটি বড় বাধা। ওজন কমাতে চাইলে এই ধরনের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত নানা উপাদান ওজন বাড়িয়ে তোলে ও নানা রকম শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে যতটা তৎপর সকলে, সেখানে মানসিক স্বাস্থ্য খানিক অবহেলিত হয়। মানসিক উদ্বেগ অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ডেকে আনে স্থূলতাও। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। এই সব কিছুই ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কাজেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ওজন কমানোর জন্যেও অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে পারেন মনোবিদের।