পুষ্টিবিদরা রোগা হওয়ার এই পর্বে সব সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন। প্রতীকী ছবি।
মেদ ঝরানোর কোনও সহজ উপায় নেই। পরিশ্রম না করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও মুশকিল। রোগা হতে চান যাঁরা, পরিশ্রম যে কিছু কম করেন, তা নয়। অনেকেই নিয়মিত জিমে যান, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন, বাইরের খাবার একেবারেই খান না। আরও অনেক নিয়ম মেনে চলেন। তবে রোগা হতে গেলে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা প্রয়োজন। সেটা সবচেয়ে জরুরি। পুষ্টিবিদরা রোগা হওয়ার এই পর্বে সব সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন। পাতে বেশি করে প্রোটিন রাখার কথা বলেন। তবে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই যে আমিষ খাবার, তা কিন্তু নয়। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান। ফলে মাংস, মাছ, ডিমের সাদা অংশের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন ঝরানোর কোনও উপায় নেই। কিছু নিরামিষ খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রইল তেমন কয়েকটি নিরামিষ স্বাস্থ্যকর খাবারের খোঁজ।
শরীরের যত্ন নেওয়া ছাড়াও বাড়তি ওজন কমাতে দারুণ সাহায্য করে পালং শাক। এক কাপ পালং শাকে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়াও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম। পালং শাক ফাইবারের অন্যতম উৎস। বিপাকক্রিয়ার ভাল-মন্দের উপর নির্ভর করে ওজন। পালং শাক বিপাকক্রিয়ার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। আধ কাপ কাঠবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ৭ গ্রাম। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম ওজন কমানোর পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগের সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিভিন্ন প্রকার ডাল
ডালের মতো উপকারী খাবার খুব কমই আছে। মুগ ডাল, মুসুর ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল— সব প্রকার ডালেই রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। রান্না করা ডালে রয়েছে প্রায় ৮.৮৪ গ্রাম প্রোটিন। মাছ, মাংস, ডিমের অন্যতম বিকল্প হল ডাল। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে ডাল রাখা জরুরি।
ছোলা
নিরামিষ খান, অথচ ওজন কমাতে চাইছেন। এমন হলে অনায়াসে ভরসা রাখতে পারেন ছোলায়। শরীরে ভিতর থেকে শক্তি জোগায় ছোলা। ছোলায় রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট , ফসফরাসে সমৃদ্ধ ছোলা ওজন কমানোর অন্যতম একটি খাবার। খিদে পেলে বাইরের ভাজাভুজি না খেয়ে বাড়িতেই বানাতে পারেন মুখরোচক ছোলার চাট।