প্রেশার বেশি থাকলে যেমন মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে, তেমনই প্রেশার কমে গেলেও কিডনি, ব্রেন ড্যামেজ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ছবি: শাটারস্টক।
অনেকেরই ধারণা, উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ কম ভয়ের। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রোগী সহজেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হতে পারেন। তা বলে নিম্ন রক্তচাপের বেলায় তাকে অবহেলা করার কোনও কারণ নেই। কারণ, হৃদ্যন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে নিম্ন রক্তচাপও। তাই এমন হলেও দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। দীর্ঘ দিন ধরেই রক্তচাপ কম থাকলে অন্য কোনও অসুখের উপসর্গও হতে পারে এটি। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘুরতে পারে, দুর্বল, চোখ ঝাপসা লাগতে পারে। কেউ কেউ আবার অজ্ঞানও হয়ে যান। রক্তচাপ অত্যন্ত কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি বা হার্টের ক্যাপিলারির মধ্য দিয়ে রক্ত পৌঁছবে না। ফলে স্ট্রোকও হতে পারে। ‘কিলার’ কথাটা প্রেশার বাড়া বা কমা উভয় ক্ষেত্রেই খাটে। প্রেশার বেশি থাকলে যেমন মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে, তেমনই প্রেশার কমে গেলেও কিডনি, ব্রেন ড্যামেজ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে কী করবেন?
১) চিকিৎসকদের মতে, যদি মনে হয় রক্তচাপ কমে গিয়েছে, ঘাম হচ্ছে, মাথা ঘুরছে, তা হলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
২) কিছুটা নুন, চিনি ও লেবুর জল খেতে পারেন। এমনিতে বলা হয় সোডিয়াম কম খেতে। কিন্তু যাঁদের রক্তচাপ নেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হতে হবে একেবারেই উল্টো। নুন খেলে উঠবে রক্তচাপ।
৩) রক্তচাপ কমে গেলে চেয়ারে বসার পরিবর্তে শুয়ে থাকাই ভাল। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাটিতে শুয়ে পড়ে পা দু’টি উপরের দিকে তুলে ফেললে হৃদ্যন্ত্রের দিকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে।
৪) রোগীর ঘাড়ে, কানের লতির দু’পাশে ও চোখেমুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। এতে তিনি অনেকটাই সুস্থ বোধ করবেন। স্নায়ুগুলি আরাম পাবে।
৫) কফি প্রেশার বাড়াতে খুব কার্যকর। ক্যাফিন আছে এমন পানীয় তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তা কমে গেলে কড়া করে কফি খেতে দিন রোগীকে।
৬) বাড়িতে যষ্টিমধু থাকলে এই অবস্থায় তা খুব কাজে আসবে। এক কাপ জলে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর সেই জল খেতে দিন রোগীকে। যষ্টিমধু রক্তকে শুধু পরিশুদ্ধই করে না, রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় রাখে।