সকালে ঘুম থেকে উঠে এই আসনগুলি করতে পারলে, তার সুফল আরও বেশি মাত্রায় পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনীহা? অ্যালার্ম বেজে গেলেও মনে হয় আরও কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকতে পারলে খুব ভাল হত। শীতের আলস্য থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে কয়েকটি যোগাসন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের যে কোনও সময়ে এই যোগাসনগুলি করলে সারা দিনের ক্লান্তি, আড়ষ্টতা, অবসাদ এবং শীত কাতুরে ভাব অনেকটাই কমে যাবে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে এই আসনগুলি করতে পারলে, তার সুফল আরও বেশি মাত্রায় পাওয়া যাবে।
ত্রিকোনাসন
শীতকালে হাত পা, কোমর, ঘাড়ে ব্যথা লেগেই থাকে। এই আসন কিন্তু আপনাকে এই ধরনের ব্যথা-বেদনা থেকে আরাম দেবে। এই ব্যায়াম আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এই আসন অত্যন্ত উপকারী।
পদ্ধতি
প্রথমে দুটি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার হাত দুটি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন। ডান হাতটি অপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দুটি ভাঙা চলবে না। দশ অবধি গুনুন। এ বার দুটি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। তিন বার এই আসনটি করুন।
ভুজঙ্গাসন
এই আসন আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহমানতা সচল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি আমাদের শরীরকে বিশেষ করে কোমরের শক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়। তাই শীতকালের আলস্য দূর হয়।
পদ্ধতি
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার দুটি পায়ের পাতা এবং কপাল যেন মাটিতে স্পর্শ করানো থাকে। পা দুটি পাশাপাশি রাখুন যাতে গোঁড়ালি দুটি পরস্পরের স্পর্শে থাকে। এ বার হাতের পাতা দুটিকে উল্টো করে কাঁধের কাছে রাখুন। খেয়াল রাখবেন কনুই দুটি যেন সমান্তরাল থাকে। হাতের পাতার উপর ভর করে আপনার দেহের উপরের অংশটি সামনের দিকে তুলুন। কোমর তুলবেন না। দশ অবধি গুনে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। তিন বার পর পর আসনটি করুন।
সলভাসন
আমাদের স্নায়ু এবং মাংশপেশিকে সচল রাখতে সাহায্য করে এই আসন। এ ছাড়া এটি আমাদের কাঁধ ও ঘাড়ের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
পদ্ধতি
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার থুতনিটি মাটিতে স্পর্শ করান। পা দুটি টানটান করে গোড়ালি দুটিকে স্পর্শ করান। হাতের পাতা উল্টো করে উরুর নীচে রাখুন। এ বার প্রথমে বাঁ পা সোজা করে সামান্য উপরের দিকে তুলে পাঁচ অবধি গুনুন এবং নামিয়ে নিন। একই ভাবে ডান পা-টি উপরের দিকে তুলে নামিয়ে আনুন। এ বার দুটি পা একসঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। দশ অবধি গুনে পা দুটি নীচে নামিয়ে আনুন। পর পর তিন বার আসনটি করুন।
পশ্চিমোত্তাসন
কোমর, হ্যামস্ট্রিং ও শিরদাঁড়ার ব্যথার জন্য এই আসন বেশ উপকারী।
পদ্ধতি
পা দু’টি সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। হাত দু’পাশে রেখে শরীরের উপর ভাগ ধীরে ধীরে সামনের দিকে পায়ের কাছে ঠেলে দিন। পায়ের গোঁড়ালি স্পর্শ করে মাথা হাঁটুতে ঠেকানের চেষ্টা করুন। পাঁচ-দশ বার গভীর শ্বাস নেওয়ার পর কোমর, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করবেন।