কী খেলে ফুসফুস ভাল থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর পরিবেশে বায়ুদূষণের প্রভাব থাকলেও শীতে এই সমস্যা একটু বেশি। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ভারী বিপদ। পাশাপাশি, বায়ুদূষণের প্রভাবে শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে জেনেও মাস্ক পরেন না বেশির ভাগ মানুষ। ধূমপানের অভ্যাসেও যে লাগাম টানতে পারেন, এমন নয়। কিন্তু ফুসফুসের মতো প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ ভাল না রাখতে পারলে তো চলবে না। বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফুসফুস ভাল রাখতে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বেশ কিছু খাবার কিন্তু ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে।
১) সাইট্রাসজাতীয় ফল
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে ভিটামিন সি এবং ই-এর ঘাটতি থাকলে ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যায়। যে কোনও ধরনের লেবু, পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত এই খাবারগুলি খেলে অ্যাজ়মার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) হলুদ
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদনে ভরপুর হলুদ। এ ছাড়াও হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। যা ফুসফুস থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে এমন অনেক সমস্যাই দূর করা যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঈষদুষ্ণ দুধে এক চিমটে হলুদ দিয়ে খেলেও দারুণ উপকার পাবেন।
৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
দূষিত এলাকায় থাকলে ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ জমতে পারে। সেই টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে ওমেগা-৩ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এ ছাড়া, সামুদ্রিক বেশ কিছু মাছ খেলেও ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
৪) পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, জ়িজ়ান্থিন, লুটেইন এবং ক্লোরোফিল। এই সব উপাদানই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং ফুসফুস থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
৫) বেরিজাতীয় ফল
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বেরিজাতীয় ফলে। তাই নিয়মিত ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি বা রাস্পবেরি খাওয়া যেতেই পারে। তবে এই ধরনের ফল বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই বদলে বিভিন্ন ধরনের আঙুর, কিশমিশও খেয়ে দেখতে পারেন।