শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে ঠিক কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
কী ধরনের খাবার রোজ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে শরীর সব ধরনের জরুরি উপাদান পাচ্ছে কি না। শরীরে অস্থিসন্ধির ব্যথাবেদনা বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই ভয়ে মাংস, ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শীতের সময়ে এই ধরনের ব্যথার উপদ্রব বেড়ে যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলেও নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এই প্রোটিন আসলে ২০ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে এই উপাদনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে ঠিক কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) মাস্ল মাস প্রোটিন
পেশির গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল প্রোটিন। সেই উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পৌঁছলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশির কার্যক্ষমতাও কমে যায়।
২) রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়া
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে রোগ, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অ্যান্টিবডির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৩) ক্ষত নিরাময় হতে দেরি
দেহের চোট, আঘাত কিংবা ক্ষত সারাতে কোলাজেনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। নতুন কোষ, টিস্যু তৈরি না হলে ক্ষতস্থান পূরণ করা সম্ভব হবে না। প্রদাহ নাশ করতেও সাহায্য করে প্রোটিন।
৪) ক্লান্তি এবং দুর্বল ভাব
দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পৌঁছলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে কায়িক শ্রম করার মতো ক্ষমতা থাকে না। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, রক্তাল্পতা এবং বিপাকহারের মানও খারাপ হয়ে যেতে পারে প্রোটিনের অভাবে।
৫) চুল, ত্বক এবং নখের সমস্যা
কোলাজেন, ইলাস্টিন এবং কেরাটিন— এই তিন ধরনের প্রোটিনের উপর ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। তাই চুল ঝরে পড়া, নতুন চুল গজানো, নখ ভেঙে যাওয়া এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে নিয়মিত প্রোটিন খাওয়া জরুরি।