—প্রতীকী ছবি।
গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত গরমে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণ জল বেরিয়ে যায়। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ। ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। শরীর থেকে ফ্লুইড বেরিয়ে গেলে পেশিতে টান ধরে। মাথা ধরা, ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যায়। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপ আটকে যেতে পারে শরীরে এই খনিজগুলির অভাব হলে। এমনটা হলে হাতের কাছে ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ (ওআরএস) রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু যদি তা না থাকে, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জলের বিকল্প হয় না। জলের বদলে কিছু সময়ে ‘ওআরএস’-ও খেতে বলা হয়। তবে, এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি খেলে শরীরে ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ মতোই কাজ করে। জানেন, সেগুলি কী কী?
১) কলা
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি পেশির কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখতেও এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ।
২) ডাবের জল
পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ রয়েছে ডাবের জলে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে এই পানীয় দারুণ কাজের।
৩) পালং শাক
অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেক খনিজ বেরিয়ে যায়, ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা নষ্ট হয়। পালং শাকে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম। যা শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) ইয়োগার্ট
গরমে সুস্থ থাকতে অনেকেই টক দই বা ইয়োগার্ট খান। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবার পেশির কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। গরমে পর্যাপ্ত ফ্লুইড জোগান দেওয়ার পাশাপাশি এগুলি হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে।
৫) কমলালেবু
ভিটামিন সি-এর উৎস হল কমলালেবু। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের কাজকর্ম ভাল রাখতে সাহায্য করে কমলালেবু।