প্লাস্টার থাকলে স্নান করা ঠিক নয়। ছবি-সংগৃহীত
৪৫ বছর বয়সি সম্বিত বসু। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। বর্ষার সময়ে রাস্তাঘাট একেই পিচ্ছিল থাকে। সময়ে অফিসে পৌঁছনোর তাড়ায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ১৫ দিন বিশ্রামে থাকতে। হাত বেশি নাড়াচাড়া করতেও বারণ করেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ চিন্তায় ফেলেছে তাঁকে। চামচ দিয়ে খেয়ে নেওয়া গেলেও স্নান করা যায় কী ভাবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। চিকিৎসক পইপই করে বলে দিয়েছেন, হাতের প্লাস্টারে যেন কোনও ভাবেই জল না লাগে। তা হলে কি ১৫ দিন স্নান না করে কাটিয়ে দিতে হবে?
অস্ত্রোপচার, ব্যান্ডেজ, প্লাস্টার হওয়ার পর অনেকেই এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান। এই সময় দ্রুত সেরে উঠতে রোগীর ওষুধ, পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিচ্ছনতার দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ব্যান্ডেজ বা প্লাস্টার করা অংশ বাঁচিয়ে কী ভাবে স্নান করা বা নিজেকে পরিষ্কার রাখা সম্ভব রইল তেমন কয়েকটি পরামর্শ।
১) স্নান না করতে পারলে অসুবিধা নেই। তোয়ালে বা নরম কোনও কাপড় ভাল করে জলে ভিজিয়ে রোগীর সারা শরীরে মুছিয়ে দিতে পারেন। খুব ভাল হয় যদি রোজ পোশাক বদলে দিতে পারেন।
২) রোগী যাতে বেশি না ঘেমে যান সে দিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে বাতানুকূল যন্ত্র আছে এমন ঘরে রোগীর থাকার ব্যবস্থা করুন।
৩) মাথায় কোনও ক্ষত না থাকলে চুল পরিপাটি করে কেটে দিন। সম্ভব হলে রোজ এক বার করে মাথা ধুয়ে দিতে পারেন।
৪) শরীরের ব্যান্ডেজহীন অংশে সাবান জল দিয়ে পাফ করে দিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন ব্যান্ডেজের মধ্যে জল না ঢুকে যায়।
৫) রোগী যদি স্নানঘরে যেতে সক্ষম হন, তা হলে সেখানে একটি চেয়ারের ব্যবস্থা করে তাঁকে বসিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁচিয়ে অল্প করে জল গায়ে ঢেলে দিতে পারেন।