জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজ শেষ হলেই পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা শুরু হয়? —ফাইল চিত্র।
রাতপোহালেই জামাইষষ্ঠী। জামাই নতুন হোক কিংবা পুরনো— জামাইকে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খাওয়ানোই এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। শুক্তো থেকে পরমান্ন— কী নেই সেই ভূরিভোজের তালিকায়! খাদ্যরসিক জামাইয়ের অবশ্য বেশ খুশি হন এমন এলাহি আয়োজন দেখে। বছরের একটা দিন ডায়েট ভুলে, শরীরের কথা ভুলে পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খান। আর ভূরিভোজ শেষ হলেই পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা শুরু হয়। সেই ভয়ে অনেকেই রক্ষাকবচ হিসাবে সকালে খালিপেটে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেন। তবে গ্যাসের ওষুধ যে সব সময় রক্ষা করবে, তা কিন্তু নয়। তার চেয়ে জামাইষষ্ঠীর সকাল শুরু হোক একটু অন্য ভাবে। তা হলে আর শরীরখারাপের ঝুঁকি থাকবে না।
১) কাঠবাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী। ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, খনিজ পদার্থ, ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো ছাড়াও গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া কাঠবাদামে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। ফাইবার হজমজনিত সমস্যা শুরুতেই রুখে দেয়। ফলে ভাল থাকে পেটের স্বাস্থ্য।
২) ওজন ঝরাতে অনেকেই সকালে গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতেও এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। শুধু উপকরণ থেকে মধু বাদ দিলেই হবে। পেট ফাঁপা, গ্যাস পেট ফুলে যাওয়ার মতো অস্বস্তি কমাতেও এই জল খুব উপকারী।
৩) ওজন কমানো থেকে গ্যাস-অম্বল, অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। পেটের গোলমাল কমাতেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। দিনের শুরুতে যদি শরীরচর্চা করেন নেন, তা হলে ঝুঁকি এড়ানো যাবে।