— প্রতীকী চিত্র।
বৃষ্টিতে ভেজা জামা গায়ে শুকোতে না শুকোতেই বাসে উঠে আবার ঘেমে যাচ্ছেন। ফলে যা হওয়ার, তা-ই হচ্ছে। সারা ক্ষণ গলায় কী যেন জড়াচ্ছে! খুসখুসে কাশি হচ্ছে। কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করছে। শুলেই নাকের একপাশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার উপর যদি রাস্তার ধুলোবালি লাগে, তা হলে তো আর কথাই নেই। প্রথম দিকে কয়েক দিন কাশির ওষুধ খেয়েছেন। কিন্তু সেই ওষুধের চোটে এমন ঘুম পাচ্ছে যে, কাজে যেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সমস্যা যদি খুব গুরুতর না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ওষুধের উপর নির্ভর না করে গরম জলের বাষ্প নিয়ে দেখা যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই তা ফল দেয়। শ্বাসযন্ত্র সামগ্রিক ভাবে ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী এই টোটকা।
১) বুকে জমা কফ দূর করে
ঘামে ভেজা জামা পরে বা বৃষ্টিতে ভিজে যদি বুকে কফ জমে, তা সহজেই দূর করা যায় গরম জলের বাষ্প নিয়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গরম জলের বাষ্প শ্বাসনালি দিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই শ্লেষ্মা পাতলা হতে শুরু করে। ফলে বুকে চাপ কম অনুভূত হয়। বুকের মধ্যে ঘড়ঘড় আওয়াজও কমে।
২) সাইনাসে আরাম দেয়
কপালের মাঝে মাইনাস গ্রন্থিতে সর্দি জমলে তা-ও সহজে বাইরে বার করে আনতে পারে গরম বাষ্প। মাথা ভার লাগা, মাথার এক পাশে যন্ত্রণা হওয়া বা সাইনাস টিস্যুর প্রদাহজনিত সমস্যায় আরাম দেয় গরম জলের বাষ্প। এ ছাড়া বন্ধ নাক খুলতেও সাহায্য করে।
৩) গলাব্যথা কমায়
ঠান্ডা লেগে অনেকেরই গলায় ঘা হয়। কিছু খেতে গেলে অস্বস্তি হয়। ঘুম থেকে ওঠার পরেই গলায় কাঁটার মতো কিছু বেঁধে। এই সমস্যা থেকেও আরাম দিতে পারে গরম জলের বাষ্প।