তেতো পানীয় না খেয়ে কী ভাবে শরীর ‘ডিটক্স’ করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
মানুষের দেহে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে শিরা এবং ধমনী। ধমনীর মাধ্যমে অক্সিজেনযুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য দিকে শিরা দূষিত রক্ত বহন করে। তবে বিশুদ্ধ রক্তে টক্সিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে নানা ধরনের দূষণ, খাবারে থাকা ভেজাল । সেই রক্তই শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সংক্রমণের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বার করে দেওয়ার কাজ করে লিভার এবং কিডনি। কিন্তু রক্তে টক্সিনের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে ছাঁকার কাজ সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। পুরো ব্যবস্থাই বিকল হয়ে পড়ে। রক্ত পরিশুদ্ধ করতে অনেক বাড়িতেই চিরতা ভেজানো জল খাওয়ার চল রয়েছে। চিরতার তেতো স্বাদ পছন্দ না হলে জেনে নিন শরীর ‘ডিটক্স’ করতে আর কী কী খেতে পারেন।
পান্তা ভাত: গরমে শরীর ঠান্তা রাখতে পান্তা ভাতের জুড়ি নেই। এই মরসুমে যত হালকা খাবার যায় ততই ভাল। আগের দিনের বাসি ভাত সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন কাঁচা লঙ্কা, কাঁচা পেঁয়াজ, আলু মাখা, সর্ষের তেল আর গন্ধরাজ লেবু দিয়ে খেয়ে নিন পান্তা ভাত। শরীর ডিটক্স করতে এই খাবারের উপর ভরসা রাখাই যায়। পেটের সমস্যাও দূর হয়।
হলুদ চা: একটি পাত্রে এক কাপ জল, কাঁচা হলুদ ও আদা কুচি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই ‘চা’ রোজকার ডায়েটে দু’বার রাখতেই পারেন। এই দুই উপাদানই বিপাকহার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও এই পানীয় দারুণ উপকারী। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি করতেও এই পানীয় দারুণ উপকারী।
শসার রায়তা: গরমের দিনে শরীর চাঙ্গা রাখতে এবং শরীর ডিটক্স করতে পাতে রাখতেই হবে রায়তা। দই হজম করতে যেমন সাহায্য করে তেমনই পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও দইয়ের জবাব নেই। এক বাটি দইয়ের সঙ্গে শসা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, ভাজা জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, বিটনুন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এক বাটি রায়তা অবশ্যই রাখুন রোজের ডায়েটে।