মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচতে বদল আনুন খাওয়াদাওয়ায়। ছবি-প্রতীকী
ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এই রোগকে বিশ্ব-বিপর্যয় হিসাবে চিহ্নিত করা হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশেষ জরুরি কমিটি এর আগে বেশ কয়েক বার বৈঠক করেছে।
কোভিড অতিমারির সময়ে গোটা পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। কিন্তু মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে ছবিটা কিছুটা আলাদা। আফ্রিকায় ইতিমধ্যেই মহামারি ঘোষণা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি হিসাবে দেখা হচ্ছে এই সংক্রমণকে।
গোটা বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার। সেই তালিকায় বাদ যায়নি ভারতও। কেরল, দিল্লি, রাজস্থানে মিলেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। কোভিড এবং মাঙ্কিপক্সের মধ্যে লক্ষণগত তফাত রয়েছে। জ্বর, শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকের র্যাশ, ধীরে ধীরে সেগুলি ফোঁড়ার মতো আকার ধারণ করতে থাকে। হাত, পা, পায়ের পাতা, মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি রোজের খাওয়াদাওয়াতেও আলাদা নজর দেওয়া জরুরি। এই ভাইরাসের হানা থেকে দূরে থাকতে কতটা বদল আনা জরুরি রোজের ডায়েটে? কী ধরনের খাবার খাবেন?
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে যে কোনও রোগই হানা দেবে শরীরে। মাঙ্কিপক্স হোক বা কোভিড— ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রোটিনের যোগান শরীরে পর্যাপ্ত থাকা প্রয়োজন। সয়াবিন, বাদাম, মুসুর ডাল, দই, বিভিন্ন শস্যের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
ডিম
ভিটামিন এ, ডি, কোলিন, আয়রন, ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ডিম সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, পেশির শক্তিশালী করতে ডিম অপরিহার্য। মাঙ্কিপক্স এবং কোভিডের যৌথ আবহে সুস্থ থাকতে প্রতি দিন একটি করে ডিম খান।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল
এই ভিটামিন শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তা ছাড়া, ভিটামিন সি সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে। লেবু, আমলকি, পেঁপে, চেরি, কিউয়ি, স্ট্রবেরির মতো ভরপুর ভিটামিন-সমৃদ্ধ ফল সুস্থ থাকতে রোজ খাওয়া জরুরি।