পরিচিত তিন পাতাতেই লুকিয়ে আছে ডায়াবিটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত
রোজের জীবনের বেশ কিছু অনিয়ম আর বদঅভ্যাস ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রায় ৯৫ শতাংশ ডায়াবিটিক রোগী ভোগেন টাইপ ২ ডায়াবিটিসে। এক রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল রোগ। কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে কম বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে এই ধরনের শারীরিক সমস্যা। নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও মিলতে পারে মুক্তি। শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। পরিচিত তিন পাতাতেই লুকিয়ে আছে ডায়াবিটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই।
কারি পাতা
রান্নার স্বাদ বাড়াতে হামেশাই ব্যবহার করা হয় কারি পাতা। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি কারিপাতার স্বাস্থ্যগুণও অনেক। ভিটামিন এ, বি, সি ও বি২-এর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পাতা ক্যালশিয়ামের ভাল উৎস। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কারি পাতা। রোজ সকালে খালি পেটে কারি পাতা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের অনেকে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তুলসি পাতা
সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে তুলসি পাতার উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। তুলসি পাতা খেলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তুলসি পাতা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চা খেতে ভালবাসলে বানিয়ে নিতে পারেন তুলসি চা। তুলসি পাতা ভেজানো জলও শরীরের জন্য উপকারী। তুলসি পাতা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
নিমপাতা
গরমে ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে নিমপাতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডায়াবিটিক রোগীদের জন্য নিমপাতা হল অত্যন্ত উপকারী। নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতেও নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান রক্তনালী সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। গরমে নিম পাতা খাওয়ার চল বাড়ে। নিম পাতার রস না খেতে চাইলে এই গরমে নিম বেগুনও খেতে পারেন।
তবে ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে একেবারেই ভুলবেন না।