বেশ কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলি শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। প্রতীকী ছবি।
শরীরে জলের ঘাটতি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। পর্যাপ্ত জলের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। এমনকি, ওজনও বেড়ে যেতে পারে জল না খেলে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই বলে থাকেন সুস্থ থাকার অন্যতম মন্ত্র হল পরিমাণ মতো জল খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে শরীরে জলের ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শরীরের আর্দ্রতা হারানোর এটিই একমাত্র কারণ নয়। বেশ কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলি শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এমন কিছু পানীয়ে রাশ টানতে হবে।
কফি
ক্লান্তি কাটাতে ঘন ঘন কফিতে চুমুক দেওয়ার আগে জেনে নেওয়া জরুরি, এই পানীয় কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। সারা দিনে এক কিংবা দু’কাপ কফি খেলে বড়সড় কোনও প্রভাব শরীরে পড়বে না। তবে ৫-৬ কাপ কফি শরীরের পক্ষে একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
অ্যালকোহল
উৎসব-অনুষ্ঠানে অল্পসল্প মদ্যপানের অভ্যাসে এ ধরনের ঝুঁকি নেই। কিন্তু নিয়মিত মদ্যপান সমস্যা ডেকে আনে। মাথাব্যথা, জিভ শুকিয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় এই উপসর্গগুলি। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার অন্যতম উপায় হল অ্যালকোহল পানের আগে জল খেয়ে নেওয়া। তা হলে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত স্মুদি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই তরল ডায়েট করেন। সেই ডায়েটের তালিকায় স্মুদি অন্যতম। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে স্মুদি তৈরি করা যায়। তবে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এমন কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীরে জলের ঘাটতির কারণ হতে পারে। ইয়োগার্ট, ডার্ক চকোলেটে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। স্মুদি খেলেও এই উপকরণগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
ফলের রস
শরীরের যত্ন নেয় ফল। গোটা ফল খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই ফলের রসও খান। বাড়িতে বানিয়ে নিলে আলাদা বিষয়। কিন্তু বাজারচলতি ফলের রসের চিনির পরিমাণ বেশি। চিনি জল শুষে শরীর ভিতর থেকে শুষ্ক করে তোলে। তাই কৃত্রিম উপায়ে বানানো ফলের রস না খাওয়াই ভাল।
চা
পা়ড়ায় আড্ডার ঠেকে কিংবা সকালে বিছানা ছাড়ার আগে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে বাঙালি উতলা হয়ে পড়ে। তবে বেশি চা খাওয়ার কিন্তু কিছু সমস্যাও রয়েছে। ক্যাফিন নামক উপাদান শুধু কফিতে নয়, চায়েও থাকে। ফলে এই উপাদান অত্যধিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে জলের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।