মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজবাজী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। কয়েক দিন ধরেই সমাজমাধ্যমে স্বরার মা হওয়ার খবর নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল। এ বার গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন অভিনেত্রী নিজেই। সমাজমাধ্যমে স্ফীতোদরের ছবি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন স্বরা। অক্টোবর মাসেই আসতে চলেছে স্বরা-ফাহাদের সন্তান।
মা হওয়ার খবর প্রথম বার জানতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি। অনেকেই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে থাকেন। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ দেখে টের পাওয়া যায় আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না। মা হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায় ধরা না পড়লে শিশুর প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই অনেক দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়। ঋতুস্রাব বন্ধ না হলেও কী কী লক্ষণ দেখা দিলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি?
১) ক্লান্তি: কোনও কারণ ছাড়াই সারা দিন প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছে? এটাও কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম দিকে শরীর অন্য একটি প্রাণ ধারণ করার জন্য তৈরি হতে থাকে। শরীরে হঠাৎ করে প্লাসেন্টা তৈরি হওয়ায় বেশি করে ক্লান্ত লাগে।
২) রক্তক্ষরণ ও টানধরা: ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কিছু দিন আগেই অল্প রক্তক্ষরণ বা পেটে টান ধরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। ভ্রূণ সঞ্চার হওয়ার প্রথম ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখা যায়। দু-এক ফোঁটা রক্তক্ষরণ দেখে অনেকে ভাবতে পারেন বুঝি ঋতুস্রাব শুরু হল। আসলে এই সমস্যার নাম ‘স্পটিং’।
৩) স্তনের পরিবর্তন: গর্ভে ভ্রূণ সঞ্চার হলে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে স্তনও ভারী হয়ে আসতে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম লক্ষণ হল নরম অথচ ভারী স্তন। হঠাৎ করে যদি এমন হয়, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিন। অথবা আপনি অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা বাড়িতেই পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
৪) বিশেষ কোনও গন্ধের প্রতি অনীহা: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম কয়েক সপ্তাহ পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব খুবই স্বাভাবিক। শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন গা গুলিয়ে ওঠে। অন্য দিকে, ইস্ট্রোজেন ও এইচসিজি হরমোনের প্রভাবে হালকা গন্ধও খুব জোরালো বলে মনে হয়। মাঝেমাঝেই বমি পায়। এ রকম সমস্যা হলে অতি অবশ্যই অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা পরীক্ষা করে নিন।
৫) ঘন ঘন প্রস্রাব: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ২-৩ সপ্তাহে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। শরীরে নতুন তৈরি হওয়া এইচসিজি হরমোন কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। জরায়ু বড় হতে থাকলে গলব্লাডারেও তার চাপ পড়ে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।