শরীরচর্চাকে পাজ়ল মেলানোর খেলা হিসেবে ভাবুন। ছবি : সংগৃহীত
পুজোর আগে নিজেকে সুন্দর করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে একটানা জিম করে গিয়েছেন। কিন্তু পুজোর কটা দিন ছুটি থাকায় এই অভ্যাসে সেই যে ছেদ পড়েছে, তার পর থেকে কিছুতেই আর নিজের শরীরটাকে টেনে জিমে নিয়ে যেতে পারছেন না। এ দিকে পুজোর কটা দিন ডায়েট ভুলে উল্টোপাল্টা খাওয়াও হয়েছে প্রচুর। উৎসবের মরসুম এখনও শেষ হয়নি। সামনেই আসছে শীতকাল, তখনও চলবে এমন খাওয়াদাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর পর্ব। মাঝের এই সময়টুকু নিজেকে একটু অনুপ্রাণিত করতে না পারলে একবারে অনেকটা খাটতে হবে। সবটাই বুঝতে পারছেন, কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় হচ্ছে না কিছুতেই।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরচর্চার একটা ধারাবাহিক নিয়ম আছে। এক দিনে অনেকটা শরীরচর্চা করলে বা অনেক দিন পর পর অনেকটা শরীরচর্চা করলে কোনটাই আপনার শরীরের জন্য ভাল ফল দেয় না। একই মত যোগা প্রশিক্ষক বা জিমের প্রশিক্ষকদেরও।
টানা অনেকদিন বিরতির পর, শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে না করলেও কী ভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করবেন?
১) পাজ়ল মেলানোর খেলা
জোর করে কিছু না করে, শরীরচর্চাকে পাজ়ল মেলানোর খেলা হিসেবে ভাবুন। পাজ়ল খেলায় যেমন ছোট ছোট টুকরো সাজিয়ে, আপনি আপনার লক্ষ্য পূরণ করেন, ঠিক তেমন ভাবেই প্রতি দিন একটু একটু করে নিজের লক্ষ্য পূরণ করুন।
২) অভ্যাস করে ফেলুন
মানুষ অভ্যাসের দাস। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, খাওয়া-দাওয়া করার মতো প্রাত্যহিক যে কাজগুলি আপনি করে থাকেন, শরীরচর্চাকেও তার একটি অঙ্গ মনে করুন। কাজ হিসেবে ভাবলে শরীরচর্চা আপনার কাছে বোঝা মনে হতে পারে।
৩) নিজেই নিজেকে উৎসাহিত করুন
অন্যের কথা শুনে অনুপ্রাণিত না হয়ে নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন। কারণ সবার পরিস্থিতি এবং চাহিদা এক নয়, তা আপনার সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। বরং আপনি আপনার পরিস্থিতিতে থেকেও যে শরীর চর্চা করতে পারছেন তার জন্য নিজেকেই ধন্যবাদ দিন।
৪) আনন্দ করে জিম করুন
লক্ষ্য পূরণের আশায় শরীরচর্চা করবেন না। ভালোবেসে জিম করুন। যেমন কোনও ভাল লাগার জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকে ঠিক তেমন ভাবে জিমকেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে হবে।
৫) লক্ষ্য স্থির রাখুন
প্রথম প্রথম সকলেরই লক্ষ্য স্থির থাকে। কিন্তু যত দিন যায় সেই লক্ষ্য থেকে আপনি বিচ্যুত হতে থাকেন। শরীরচর্চা কিন্তু অনেকটা অর্জুনের লক্ষ্যভেদ করার মতো। ধৈর্য ধরে নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকুন।
৬) নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠুন
অন্যের করা রেকর্ড ভাঙতে যতটা না আনন্দ হয়, তার চেয়ে বেশি আনন্দ হবে প্রতি দিন নিজেকেই নিজের রেকর্ড ভাঙতে দেখলে। ধরুন, শুরুতে দশটা পুশ আপ করলেন। কিন্তু দিনে দিনে তা কুড়িটা, পরে ৩০টা পর্যন্ত আপনাকেই করতে হবে এই লক্ষ্যে অবিচল হয়ে জিম করুন।