জিমে যাওয়ার আগে কী কী খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ওজন বাগে আনতেই হবে। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে জিমে ভর্তি হলেন। রোগা হওয়ার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময়টাই খালি পেটে থাকতে শুরু করলেন। তবে এই অভ্যাসে কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে শরীরের। ওজন কমাতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে পরিমাণ বুঝে। অল্প মাত্রায় বার বার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তার থেকেও বেশি জরুরি সঠিক খাদ্যাভাস। শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরে কী খাবার খাওয়া উচিত, তা অনেকেরই জানা নেই। অনেকেই আবার খালি পেটেই শরীরচর্চা শুরু করে দেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। খালি পেটে শরীরচর্চা করলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আবার বেশি ভারী খাবার খেয়ে নিলেও অস্বস্তিবোধ হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, যে কোনও খাবার খাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পর শরীরচর্চা করা উচিত।
পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, শরীরচর্চা করার আগে যে কোনও ভাজাভুজি জাতীয় খাবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার, মশলাদার খাবার, যে সব খাবারে বেশি পরিমাণে ফাইবার আছে, এমনকি সব্জি এবং কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
তা হলে কী খাওয়া যায় ভেবেই হয়রান?
১) কলা-মধুর স্মুদি: শরীরচর্চার আগে কলা খাওয়া যেতে পারে। কলা শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে এবং ইলেকট্রোলাইট হিসাবেও কাজ করে। এ ক্ষেত্রে দই, কলা, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে এর মধ্যে দুটো কাঠবাদাম আর সামান্য দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারেন।
২) আপেল আর পিনাট বাটার: আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার কিন্তু জিমে যাওয়ার আগে একটি ভাল বিকল্প খাবার হতে পারে। পিনাট বাটার শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয়, পেশি মেরামতে সাহায্য করে ও অনেক ক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। আপেলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির সঞ্চার করে।
৩) ওট্স কলার পরিজ: শরীরচর্চা করতে যাওয়ার আগে ওট্স খেতেই পারেন। দুধ হালকা গরম করে তাতে ভিজিয়ে রাখা ওট্স, চিয়া সিডস মিশিয়ে নিন। এ বার একে একে কাঠবাদাম, খেজুর, কলা আর সামান্য পরিমাণে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। খেতে দারুণ সুস্বাদু এই খাবার আপনি শরীরচর্চা করার আগে খেতেই পারেন।