সতর্ক থাকুন পুরুষেরা। ছবি: সংগৃহীত।
শারীরিক সমস্যা নিয়ে পুরুষদের মধ্যে সতর্কতা কিছুটা কম। পারিবারিক দায়িত্ব, পেশাগত চাপ, ব্যস্ততা সামলে শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়টিতে একেবারেই নজর দেন না অনেকেই। শরীরের প্রতি এই অবহেলার কারণেই অনেক রোগের ইঙ্গিতও চোখে ধরা পড়ে না। একটা বয়সের পর এই বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে ৪০-এ পা দেওয়া মানেই ক্রনিক কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। কোলেস্টেরল তার মধ্যে অন্যতম। তবে রোগের নাম যা-ই হোক, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সুস্থ থাকা সহজ হয়। কোলেস্টেরল বা়ড়লে তার কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষেরা কোন লক্ষণগুলি দেখে সতর্ক হবেন?
জ়্যানথেলাসমা
চোখের চারপাশে, নাকের পাশে ফোলা এক ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। যেগুলির রং হলদে হলুদ। চিকিৎসা পরিভাষায় যা জ়্যানথেলাসমা বলা হয়। এগুলি কোলেস্টেরল বাড়লে হয়। এমন হলে দ্রুত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আর্কাস সেনিলিস
চোখে মণির চারপাশ ধূসর বর্ণের হয়ে যায়। কোলেস্টেরেলর এই উপসর্গের নাম আর্কাস সেনিলিস। যাঁদের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল আছে, তাঁদের চোখে এমন দেখা যায়। তবে হঠাৎ করেই এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
ঘন ঘন মাথাব্যথা
কোলেস্টেরল বাড়লে প্রায় দিনই মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। কোনও কারণ ছা়ড়াই যদি ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে থাকে, তা হলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোলেস্টেরল বাড়লেই এমন হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
হার্টের নানা সমস্যা
বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অত্যধিক দুর্বলতা— হার্টের রোগের অন্যতম লক্ষণ এগুলি। ৪০-এ পা দিতে না দিতেই যদি এই ধরনের সমস্যা হতে শুরু করে, তা হলে অতি অবশ্যই কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হতে পারে কোলেস্টেরল বেড়েছে বলেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
স্লিপ অ্যাপনিয়া
৪০ পেরোতেই স্লিপ অ্যাপনিয়ার শিকার হয়েছেন? সেক্ষেত্রেও কোলেস্টেরল নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। কোলেস্টেরলের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলা জরুরি।