দীর্ঘ দিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগলে সচেতন হোন। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরের শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। শুধু তা-ই নয়, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসাবেও এর কদর রয়েছে। ফ্রি র্যাডিকালস ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায় ভিটামিন সি। চুল ও ত্বকের যত্নেও এটি অপরিহার্য। কোলাজেন সিন্থেসিসের জন্যেও প্রয়োজনীয় উপাদান এটি। খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের কারণে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়।
শরীরে ভিটামিন সি-র অনুপস্থিতি কিন্তু মোটেই প্রাথমিক ভাবে টের পাওয়া যায় না। ফলে উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এই অভাবকে উপেক্ষা করতে করতে এমন একটা পর্যায় আসে, যখন ক্রনিক অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। শরীরে দেখা দেয় অন্য অনেক ক্রনিক উপসর্গ। কী দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে?
১) এই ভিটামিনের অনুপস্থিতিতে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। ফলে ত্বকের বাইরের স্তর পাতলা ও ফ্যাকাসে হতে থাকে। ত্বকের নীচের রক্তজালকগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা দেখা যায়।
২) ভিটামিন সি-র অভাবে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না। তাই শরীর কোনও জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। ভাইরাল সংক্রমণের কবলে মাঝেমধ্যেই পড়তে হয়।
৩) সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরেও অ্যানিমিয়ার হানা না কমলে অবশ্যই পাতে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ক্লান্তিবোধ, ঘন ঘন মাথাব্যথা সঙ্গে রক্তাল্পতার চোখরাঙানি আদতে ভিটামিন সি-র অভাবকেও বোঝায়।
৪) দাঁতের গোড়ায় ক্যালশিয়াম জমা, মাড়ি দুর্বল হয়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত— এই ভিটামিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগলে সচেতন হোন।
৫) এই ভিটামিনের স্বল্পতা চুলের গোড়াকে আলগা করে ও চুল পাতলা করে তোলে। অকালে চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই ভিটামিনের অভাব। চুলের যে কোনও প্রসাধনে তাই আমলকি, লেবুর উপাদান থাকে। কোনও অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠলে ভিটামিন সি-এর জোগানে মন দিন।